GRAPHITES (Graph) (গ্রাফাইটিস)
Full Name : GRAPHITES
Short Name : Graph
গ্রাফাইটিস একটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ঔষধ।
সমনাম : ব্ল্যাক লেড, প্লামবাগো, সেরুসা নায়গ্রা, কালসীসা।
উৎস : খনিজ।
প্রভার : ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান, নেনিং, রুমেল, হার্টলব।
কাতরতা : শীতকাতর (+++) 1
মায়াজম : সোরিক (++), সাইকোটিক (++), সিফিলিটিক (+), টিউবারকুলার (+)।
ক্রিয়াস্থল : মন, পরিপাকতন্ত্র, রক্ত সঞ্চালন, চর্ম, সন্ধিস্থল, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি, গ্রন্থি।
মন্তব্য- : অন্যান্য 'কার্বন'গুলির ন্যায় ইহা একটা অতি শক্তিশালী সোরাদোষঘ্ন ঔষধ।
কাদের জন্য উপযোগী : বিশেষত যারা মোটা-সোটা চেহারার, শরীর এর বর্ণটা যাদের গৌরবর্ন, যাদের সহজেই চর্মরোগ হয়, যাদের কোষ্ঠবদ্ধের ধাত, যারা মোটা, শীতার্ত ও কোষ্ঠবদ্ধযুক্ত (fat, chilly & costive), যাদের সহজেই সর্দি লাগে, যে রমণীরা বিলম্বিত ও স্বল্পঋতুযুক্তা, (ক্যাল্কেরিয়ায় ঋতুস্রাব শীঘ্র শীঘ্র ও খুব বেশি হয়) তাদের উপর এই ঔষধটার বিশেষ ক্রিয়া আছে জানবেন।
প্রদর্শক-
দেহ স্থূলতা, থলথলে ও গৌরবর্ণ।মধুর ন্যায় আঠাস্রাবী চর্মরোগ।সাবধানী ও কোষ্ঠবদ্ধের ধাত।
কী-নোটস:
১। স্থূলতা প্রাপ্ত হওয়ার প্রবণতা, কোষ্ঠবদ্ধতা এবং সঙ্গমে অনিচ্ছা। বিশেষতঃ যে সকল স্ত্রীগণের বিলম্বে ঋতু প্রকাশ পায়।
২। চর্মরোগের (চাপা পড়ার) ইতিহাস এবং চর্মে আক্রান্ত স্থান ফাটা ফাটা ও জলের মত স্বচ্ছ, চটচটে মধুর ন্যায় রস ঝরতে থাকে।
৩। কর্ণরোগে গোলমালের মধ্যে ভাল শুনতে পায়।
৪। মাছ, মাংস, মিষ্টি ও লবণে অনিচ্ছা এবং সংগীতে বিলাপ করতে থাকে অর্থাৎ সংগীতেও অনিচ্ছা।
৫। পেটের যন্ত্রণা আহারে, গরম পানীয়ে বিশেষতঃ গরম দুধে ও শয়নে উপশম।
৬। মুখমন্ডলে যেন মাকড়সার জাল জড়িয়ে আছে, এরুপ অনুভূতি।
৭। নখের বিকৃতি-হাতের ও পায়ের আঙ্গুলের নখের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা বিকৃতি, কখন নখ অনিয়মিত বাড়ে, কখন উহা পুরু হয়, আবার কখন বা ফাটা ফাটা দাগ হইয়া ক্রমশঃ নখ নষ্ট হয়, নখের এই বিশেষত্ব গ্রাফাইটিস প্রয়োগের প্রধাণ নির্বাচক লক্ষণ।
হ্রাস-বৃদ্ধি:
বৃদ্ধি : ঋতুস্রাবের পরে ও সময়ে, ঠান্ডা ঝাপ্টায়, উদ্ভেদ অবরুদ্ধে, আলোতে, রাতে, পা ভেজালে, বিছানার গরমে, সংগীতে।
হ্রাস : খোলা বাতাসে হাঁটলে, গরম দুগ্ধ পানে, স্পর্শে, খাবার পর, ঢেকুর উঠলে, অন্ধকারে, শব্দে।
ক্রিয়ানাশক: নাই।
শত্রুভাবাপন্ন: আর্স, আয়োড, লাইকো, থেরিডিয়ন, রাসটক্স।
গ্র্যাফাইটিস
গ্র্যাফাইটিসের প্রথম কথা-
স্থূলতা ও কোষ্ঠবদ্ধতা।
গ্র্যাফাইটিস একটি অত্যন্ত দীর্ঘকাল কার্যকরী ঔষধ। ইহা সাধারণত পুরাতন রোগেই ব্যবহৃত হয়। ইহার
প্রথম কথা- স্থূলতা অর্থাৎ রোগী অত্যন্ত স্থূলকায় হয়। অবশ্য যদি স্থূলকায় বা স্থূল দেহই তাহার বিশেষত্ব হইত তাহা হইলে বলা উচিত ছিল যে গ্র্যাফাইটিসের প্রথম কথা স্থূল দেহ। কিন্তু তাহা নহে।
গ্র্যাফাইটিসের সর্বত্রই কিছু না কিছু স্থূলতার পরিচয় পাওয়া যায়, তাহার দেহ স্থূল, চর্ম স্থূল, চর্মরোগ হইতে যে রস নির্গত হয় তাহা স্থূল অর্থাৎ গাঢ় এবং তাহার নখও স্থূল অর্থাৎ অত্যন্ত মোটা ও শক্ত।
আমরা সকলেই জানি মনের অনুপাতেই দেহের গঠন। কিন্তু মন দৃষ্টি অগোচরে থাকে বলিয়া দেহের গঠন - নখ, চুল, দাঁত এবং চর্মের মধ্য দিয়া আমাদের বুঝা উচিত লোকটির প্রকৃতি (Nature) কিরূপ। কারণ
এই প্রকৃতিই মানুষের প্রকৃত পরিচয় এবং ইহাই হোমিওপ্যাথির বৈশিষ্ট্য। অতএব হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শুধু রোগীর মুখের কথা বা রোগের নাম-করণের উপর নির্ভর করে না, চিকিৎসকের সম্যক পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানই তাহার এক মাত্র পথ।
গ্র্যাফাইটিস এত মোটা বটে কিন্তু শিথিল দেহ নহে এবং ঘাম খুব কম হয় বলিয়া দেহ বেশ নরম নহে। এইজন্য তাহার গাত্রত্বক শুষ্ক, শক্ত এবং স্থানে স্থানে ফাটিয়া যায়। বগল, কুঁচকি ইত্যাদি সন্ধিস্থল হাজিয়া যায়, আঙ্গুলের গলি, কনুই ইত্যাদি সন্ধিস্থলে চুলকানি দেখা দেয়, কানের পাশে, অণ্ডকোষে চটা-ঘা এবং চুলকানি, চুলকানি হইতে গাঢ় চটচটে রস নিঃসরণ হয়।
এই গেল গ্র্যাফাইটিসের প্রথম কথা।
নোট : কিন্তু পূর্বে বলিয়াছি যে, গ্র্যাফাইটিস সাধারণত পুরাতন রোগেই ব্যবহৃত হয়।
অতএব গ্র্যাফাইটিস রোগী মাত্রেই আপনি চটা-ঘা না দেখিতে পারেন বা কুঁচকিস্থানে হাজা না দেখিতে পারেন। কিন্তু যদি অনুসন্ধান করিতে যান তাহা হইলেই রোগী স্বীকার করিবে যে পূর্বে ( অতীত রোগে) তাহার চটা-ঘা বা চুলকানি হইয়াছিল এবং মধুর মত গাঢ় চটচটে রস নির্গত হইত।
তাহার পায়ের নখগুলিও অত্যন্ত মোটা ও শক্ত এবং প্রায়ই আঙ্গুলের মধ্যে বসিয়া গিয়া বেদনাযুক্ত হইয়া ওঠে।
গ্র্যাফাইটিস রোগী প্রায় সর্বদাই অত্যন্ত কোষ্ঠকাঠিন্য বা কোষ্ঠবদ্ধতায় কষ্ট পাইতে থাকে, এবং তাহার মতও মল ( Stool) অত্যন্ত স্থূল অর্থাৎ মোটা ও বড়। কিন্তু এই মলের একটি বিশেষত্ব এই যে মল যদিও মোটা এবং বড় কিন্তু তাহা অনেকগুলি ঢেলা বা গুটলে একত্রে হইয়া বৃহদাকার প্রাপ্ত হয় এবং ঐ শক্ত শক্ত ঢেলা বা গুটলেগুলি আম বা শ্লেষ্মার দ্বারা আবদ্ধ থাকে। অতএব গ্র্যাফাইটিস রোগীর স্থুল দেহ অনুপাতে এইরূপ স্থুল মলের (Stool) প্রতিও লক্ষ্য রাখিবেন এবং আরও লক্ষ্য রাখিবেন যে, তাহা অনেকগুলি গুটলে একত্র হইয়া বৃহদাকার প্রাপ্ত হইয়াছে কি না? এবং গুটলেগুলি শ্লেষ্মাজড়িত কি না?
Note : গ্র্যাফাইটিসের সকল রোগেই এইরূপ মলের পরিচয় পাইবেন।
কিন্তু মনে রাখিবেন যে, গ্র্যাফাইটিসে কোষ্ঠকাঠিন্য বা কোষ্ঠবদ্ধতা এত অধিক যে প্রত্যহ সে মলত্যাগ করে না এবং যখন করে তখন এইরূপ মল (Stool)দেখিতে পাওয়া যায়।
গ্র্যাফাইটিসে উদরাময়ও আছে, তবে তাহা কদাচিৎ দেখিতে পাওয়া যায় এবং কেবলমাত্র তখনই পাওয়া যায় যখন কোন চর্মরোগের উপর কোন মলম লাগাইবার পর তাহা বসিয়া যায় অর্থাৎ চর্মরোগ বসিয়া গিয়া উদরাময় দেখা দিলে ক্ষেত্র-বিশেষে গ্র্যাফাইটিস বেশ উপকারে আসে।
গ্র্যাফাইটিসের দ্বিতীয় কথা :
ফাটা চর্ম ও চটচটে রস।
গ্র্যাফাইটিসের ঘর্ম খুব কম বলিয়া প্রায়ই ফাটিয়া যায়, বিশেষত নাকের পাতা, চোখের পাতা, স্তনের বোঁটা, মলদ্বার ইত্যাদি স্থান ফাটিয়া যায়। কুঁচকি, যোনিদ্বার হাজিয়া যায়।
সে সকল হৃষ্ট-পুষ্ট ছেলেমেয়েদের কানের পশ্চাৎভাগ চটা-ঘা দেখা দেয় অর্থাৎ যে ঘা দিয়া চটচটে রস বাহির হইতে থাকে তাহারা প্রায়ই গ্র্যাফাইটিসের ব্যবহারে আরোগ্যলাভ করে। তবে গ্রাফাইটিসের অন্যান্য লক্ষণও বর্তমান থাকা চাই। কিন্তু পুরাতন রোগের চিকিৎসাকালে এরূপ ঘা বা চর্মরোগ কোনদিন বর্তমান ছিল কিনা তাহার সন্ধান লওয়া উচিত।
অতীত রোগঃ কারণ অতীতকে ভিত্তি করিয়াই বর্তমান প্রকাশ পায়, অতীত বর্তমান অপেক্ষা সত্য।
যাহা হউক গ্র্যাফাইটিসের চর্মরোগ হইতে অত্যন্ত গাঢ় চটচটে রস নির্গত হয় এবং রোগীটি সাধারণত বেশ একটু স্থূলকায় এবং কোষ্ঠবদ্ধ হয় বলিয়া গ্র্যাফাইটিসকে সংক্ষেপে বলা যায় ফাটা, মোটা, চটা ও কোষ্ঠবদ্ধ। (৪টি Item থাকেনা লাগবে)
গ্র্যাফাইটিসের তৃতীয় : কথা-শঙ্কা ও সতর্কতা।
গ্র্যাফাইটিস রোগী অত্যন্ত সতর্ক এবং সর্বদাই শঙ্কিত। সে কোন কাজ কবিরবার পূর্বে ক্রমাগত চিন্তা কিরতে থাকে ইহা সে করিবে কি না, করিলে ভাল হইবে কিনা, যদি না হয় ইত্যাদি নানাবিধ আশঙ্কায় সে ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়ে। যদি একান্তই করিতে হয় তাহা হইলেও কর্ম শেষ হইয়া গেলেও সে নিশ্চিত হইতে পারে না। ক্রমাগত মনে করিতে থাকে, বোধ হয় কিছু ভুল হইয়া গিয়াছে। গ্র্যাফাইটিস রোগী যদি কাহাকেও কোন পত্র লিখিতে চায়, তাহা হইলে সে অনেকক্ষণ চিন্তা করিবে যে পত্র লেখা উচিত কিনা এবং কিভাবে লেখা উচিত ইত্যাদি। তারপর পত্র লেখা শেষ হইলে পত্রখানিকে খামের মধ্যে বন্ধ করিয়া ডাকঘরে যাইবার পথে সে খামখানি খুলিয়া পুনরায় দেখিয়া লয় চিঠিখানি ঠিক লেখা হইয়াছে কিনা? গ্র্যাফাইটিসের রোগীর সকল কাজেই এইরূপ শঙ্কা ও সতর্কতা দেখিতে পাওয়া যায়।
অতএব এইরূপ মানসিক লক্ষণের সহিত পূর্ব কথিত স্থূল দেহ, স্থূল চর্ম ইত্যাদি এবং কোষ্ঠবদ্ধতা বর্তমান থাকিলে সর্বত্রই গ্র্যাফাইটিসের কথা মনে করা উচিত। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের তিরস্কার করিলে হাসিতে থাকে। নিদারুণ নৈরাশ্য। অত্যন্ত পরিবর্তনশীল ও কোমল স্বভাব (পালস)।
গ্র্যাফাইটিসের চতুর্থ কথা- :
মাছ, মাংস, সঙ্গীত ও সঙ্গমে অনিচ্ছা।
গ্রাফাইটিস কখনও মাছ বা মাংস খাইতে চাহে না এবং সঙ্গীত ও সঙ্গমে অনিচ্ছাও খুব প্রবল। বিশেষত গ্র্যাফাইটিস রোগিনী সঙ্গীত ও পছন্দ করে না, সঙ্গম ও ইচ্ছা করে না।
ক্ষুধা-তৃষ্ণা খুব প্রবল কিন্তু মাছ, মাংস; মিষ্টি বা লবণ পছন্দ করে না। ফুলের গন্ধ সহ্য হয় না। মৃত্যুচিন্তা। বিষাদ, নৈরাশ্য, বিষন্নতা।
পেটের মধ্যে জ্বালা, ব্যথা। অম্ল উদগার, বমি। পেটের মধ্যে নিদারুণ বায়ু-সঞ্চার, উদগারে উপশম। পেটের জ্বালা বা ব্যথা, শুইয়া পড়িলে বা গরম দুধ খাইলে প্রশমিত হয়। তৃষ্ণাহীনতা সত্ত্বেও জলপান।
আলোকাতঙ্ক; গ্র্যাফাইটিস রোগী রৌদ্রের পানে চাহিলেই তাহার চক্ষু দিয়া জল ঝরিতে থাকে।
গ্র্যাফাইটিস যদিও অত্যন্ত শীতার্ত ( Cold Agg) কিন্তু তাহার ব্রহ্মতালু সর্বদাই অত্যন্ত গরম বলিয়া বোধ হইতে থাকে। হাতের তালু এবং পায়ের তলাতেও উত্তাপ ও ঘর্ম দেখিতে পাওয়া যায় বটে কিন্তু শয্যায় শুইলেই তাহার পদদ্বয় অত্যন্ত ঠাণ্ডাবোধ হইতে থাকে।
গ্র্যাফাইটিসের একটি বড় লক্ষণ: পথে চলিবার সময় গ্র্যাফাইটিস রোগী মনে করে তাহার মুখমন্ডলে যেন মাকড়সার জাল লাগিয়া গিয়াছে, তাই সে প্রায়ই তাহার মুখমণ্ডল মুছিয়া লইতে চায়। এই লক্ষণটিও গ্র্যাফাইটিসের একটি বড় লক্ষণ।
বামদিকের মুখে পক্ষাঘাত। দাঁতের যন্ত্রণা গরমে বৃদ্ধি পায়।
নিদ্রাকালে শ্বাস বন্ধ হইয়া যাওয়া গ্র্যাফাইটিসের আর একটি লক্ষণ। নিদ্রাভঙ্গে গ্র্যাফাইটিস প্রায়ই অত্যন্ত তৃষ্ণাবোধ করে। তৃষ্ণাহীনতা।
গ্র্যাফাইটিসের পেটের যন্ত্রণা অনেক সময় কিছু খাইলে কম পড়ে, বিশেষত গরম দুধ খাইলে এবং শুইয়া পড়িলে। (ল্যাকে, লাইকো)। চেলিডোনিয়ামেও গরম দুগ্ধে উপশম আছে।
ঋতুস্রাব: ঋতুকষ্ট। ঋতুস্রাব - তাহাও খুব ঘন। স্বল্প ঋতু; পায়ে ঠাণ্ডা লাগিয়া স্ত্রীলোকদের ঋতুরোধ (পালস)।
গ্র্যাফাইটিস স্ত্রীলোকেরা প্রায়ই নানাবিধ ঋতুকষ্টে ভুগিতে থাকেন। ঋতুকালে মাথাব্যথা, ঋতুকালে কাশি, ঋতুকালে শোথ, ঋতুর পরিবর্তে শ্বেতপ্রদর।
পুরুষ : সঙ্গমকালে বীর্যপাতের অভাব (লাইকো, সোরিনাম)।
সকল স্রাব অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত: মল, মূত্র, ঘর্ম ইত্যাদি সকল স্রাব অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত।
শরীরের নানাস্থানে গ্ল্যাণ্ড ফুলিয়া বেদনাযুক্ত হইয়া ওঠে।
মহিলা : বন্ধ্যাত্ব-দোষ বা গর্ভ না হওয়া (অ্যালেট্রিস, কলোফাই, গসিপি)।
সঙ্গমেচ্ছার অভাব বা আতিশয্য।
স্তনে ক্যান্সার।
ঋতুকালে বিসর্প বা ইরিসিপেলাস, সর্দি, জননেন্দ্রিয়ে চুলকানি।
চর্মরোগ চাপা পড়িয়া উদরাময়, মল দারুণ দুর্গন্ধযুক্ত।
কানের ভিতর নানাবিধ শব্দ, কান বন্ধ হইয়া যাওয়া, বিশেষত পূর্ণিমায়।
পড়ে। শব্দের মধ্যে বা গাড়ীর ঘড়-ঘড়ানিতে কানের তালা-লাগা কম পড়ে, পদ্বদ্বয়ে শোথ; পক্ষাঘাত।
দেহের সন্ধিস্থলে, যেমন কানের পাশ, কনুই, আঙ্গুলের গলি, পায়ের গোছ ইত্যাদি স্থানে চর্মরোগ এবং চর্মরোগ হইতে মধুর মত গাঢ় রস নির্গত হওয়া গ্র্যাফাইটিসের একটি প্রধান লক্ষণ।
অতএব যে সকল রোগীতে এইরূপ চর্মরোগ দেখিতে পাওয়া যাইবে বা কখনও দেখিতে পাওয়া গিয়াছে তাহাদের রোগ আর যাহা কিছু হউক না কেন সন্ধান লইয়া দেখা উচিত তাঁহারা গ্র্যাফাইটিস কিনা।
নোট : ঋতু উদয়কালে যেমন পালসেটিলা, ঋতু অন্তকালে তেমনই গ্র্যাফাইটিস অর্থাৎ পালসেটিলা এবং গ্র্যাফাইটিস প্রায় সমভাবাপন্ন।
প্রভেদ এই যে, একটি তৃষ্ণাহীন, অপরটি তৃষ্ণার্ত একটি গরমকাতর অপরটি শীতার্ত।
বাম অঙ্গ বেশি আক্রান্ত হয়।
গ্র্যাফাইটিস রোগীর সুগভীর ক্রিয়াশীল ঔষধ, সর্ববিধ রোগেই ব্যবহৃত হইতে পারে, কিন্তু ক্ষয়দোষগ্রস্ত রোগী সম্বন্ধে খুব সতর্ক থাকা উচিত (সালফার)।
%%%%%‰%‰%‰
ভীষণভাবে মোটা হওয়া এবং আঠাল রসস্রাবী চর্মরোগ এই দুইটি লক্ষণ যেখানেই পাবেন সেখানেই ইহাকে প্রয়োগ করতে দ্বিধা করবেন না। এই চর্মরোগ সর্বত্রই হতে পারে, কিন্তু প্রধানত কানের উপরে বা পশ্চাতে, মুখমণ্ডলে, জননেন্দ্রিয়ে ও চক্ষুর পাতায় হওয়াই গ্র্যাফাইটিস এর বিশেষত্ব।
-- ডাঃ কাজী সাইফ উদ্দীন আহমেদ
বি এস সি(বায়োকেমিস্ট্রি), ঢা.বি,
ডি এইচ এম এস (বোর্ড স্ট্যান্ড), ঢাকা
প্রভাষক,
ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ।
আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
>Share by:

Make a comments as guest/by name or from your facebook:
Make a comment by facebook: