কেন ফ্লু বা সর্দির ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকারক হতে পারে "
--অ্যান্টিবায়োটিক হল ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ( ভাইরাস এর বিরুদ্ধে নয়) সক্রিয় এক ধরনের অ্যান্টি-অণুজীব পদার্থ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধরনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট৷
আজ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়৷
যে কোনো সংক্রমণের চিকিৎসায় ভাইরাস এবং ছত্রাক রয়েছে, আধুনিক বিজ্ঞানের জন্য ভাইরাসকে মারতে বা রোধ করার জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হাস্যকর এবং উচিত নয়।
দুর্ভাগ্যবশত কেউ আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং তার ফ্লু-এর পরামর্শকে জিজ্ঞাসা করে না বা ঠাণ্ডালাগা ভাইরাসের কারণে হয় এবং অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা উচিত নয়।
একটি ভাইরাল অসুস্থতাকে সাহায্য করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিকগুলি কিছু করে না "যদি ক্রুপ বা বেশি শ্লেষ্মা থাকে তবে এটি হলুদ বা সবুজ হতে পারে তার মানে এই নয় যে আপনার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ আছে।
ভাইরাল সর্দির সময় শ্লেষ্মা ঘন হওয়া বা রঙ পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক।
প্রতিদিনের পণ্যে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক এড়িয়ে চলুন, আপনার বাচ্চাদের এবং নিজেকেও বাঁচান ।
চলুন, আরো একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।
ফ্লু বা সর্দির জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত নয়, কারণ এই দুইটি রোগ মূলত ভাইরাসজনিত।
অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর।
কিন্তু ফ্লু বা সর্দি হলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এখানে বিস্তারিতভাবে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো:
১. অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ (Antibiotic Resistance)
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ একটি বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন অ্যান্টিবায়োটিক বারবার বা ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়, তখন শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো সেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। ফলে, ভবিষ্যতে যে কোনো ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রে সেই অ্যান্টিবায়োটিক আর কার্যকর থাকে না।
উদাহরণস্বরূপ:
একজন ব্যক্তি যদি সর্দি বা ফ্লুর মতো সাধারণ ভাইরাসজনিত অসুস্থতায় অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন, তাহলে শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো এই ওষুধের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে। পরবর্তীতে যখন সত্যিকারের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হবে, তখন সেই অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না।
এটি শুধু রোগীর ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, সমাজের সবার জন্য একটি স্বাস্থ্য ঝুঁকি, কারণ এটি অ্যান্টিবায়োটিকের সামগ্রিক কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
২. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effects)
অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত বা ভুল ব্যবহার শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
ডায়রিয়া ও পেটের সমস্যা: অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের প্রাকৃতিক ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোও ধ্বংস করে দেয়, যা হজম প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে এবং ডায়রিয়া বা পেটের ব্যথার কারণ হতে পারে।
এলার্জি ও ত্বকের র্যাশ: অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে অনেকের ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণত তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, এবং কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।
বমি বমি ভাব ও মাথাব্যথা: অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, ক্লান্তি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
৩. প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতি
অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের শুধু ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নয়, বরং প্রাকৃতিকভাবে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোকেও ধ্বংস করতে পারে। শরীরে থাকা এসব ভালো ব্যাকটেরিয়া আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে এগুলো ধ্বংস হলে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে অন্যান্য সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৪. সুপারবাগের উদ্ভব
অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে সুপারবাগ (Superbug) নামক ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। সুপারবাগ এমন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, যেগুলো কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিই সংবেদনশীল নয়। এটি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এবং প্রাণঘাতী সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ায়।
৫. অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসার ঝুঁকি
যখন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় কিন্তু তা কার্যকর হয় না (যেমন ফ্লু বা সর্দির ক্ষেত্রে), তখন মূল অসুখের চিকিৎসা বিলম্বিত হয়। রোগী ভুলভাল চিকিৎসা গ্রহণ করার কারণে রোগের প্রকৃত উপশম পায় না এবং সুস্থ হতে দেরি হয়।
৬. ইমিউন সিস্টেমের দুর্বলতা
অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ইমিউন সিস্টেমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শরীর যখন কোনো রোগের বিরুদ্ধে নিজে থেকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়, তখন অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার সেই স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ব্যাহত করে। ফলে পরবর্তীতে ছোটখাটো সংক্রমণেও রোগী আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
++++
ফ্লু বা সর্দির ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
ফ্লু বা সর্দির ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি, যা প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ সারাতে কাজ করে।
হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসার লক্ষ্য হলো রোগীর শারীরিক ও মানসিক উপসর্গগুলোর সমন্বিত বিবেচনা করে তাকে সুস্থ করে তোলা।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলো অত্যন্ত মৃদু এবং নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত, যার ফলে এগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা প্রদান করতে সক্ষম।
ফ্লু বা সর্দির জন্য ব্যবহৃত সাধারণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ:
১. আকোনাইট (Aconitum Napellus):
উপসর্গ: আকস্মিকভাবে ফ্লু শুরু হলে, বিশেষ করে ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসার পর; শরীর হঠাৎ করে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং জ্বর আসে; তীব্র মাথাব্যথা এবং গলা শুকিয়ে যায়।
চিকিৎসা: ফ্লুর প্রাথমিক অবস্থায় আকোনাইট ভালো কাজ করে। এটি শীতের কারণে সৃষ্ট উপসর্গ দ্রুত উপশম করতে সাহায্য করে।
আরো বিশেষ পরিচায়ক লক্ষণাবলী আছে।
২. আর্সেনিকাম অ্যালবাম (Arsenicum Album):
উপসর্গ: নাক থেকে পাতলা, ঝালাপালা পানি ঝরা; ঠান্ডা লাগা; তীব্র দুর্বলতা; গলা এবং মাথাব্যথা; বারবার ঠান্ডা অনুভূত হওয়া।
চিকিৎসা: সর্দি-কাশি বা ফ্লুর কারণে শারীরিক দুর্বলতা এবং নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি ঝরা উপসর্গ থাকলে আর্সেনিকাম অ্যালবাম অত্যন্ত কার্যকর।
আরো বিশেষ পরিচায়ক লক্ষণাবলী আছে।
৩. ব্রায়োনিয়া (Bryonia Alba):
উপসর্গ: সর্দির সাথে গলা এবং বুকে শুকনো কাশি; মাথাব্যথা; গলা ব্যথা; নাক দিয়ে শুকনো সর্দি পড়া এবং কাশি করার সময় ব্যথা অনুভব হওয়া।
চিকিৎসা: এই ওষুধটি শুকনো কাশি এবং ফ্লু-এর কারণে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। যখন ফ্লুর উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, তখন এটি কার্যকর হয়।
আরো বিশেষ পরিচায়ক লক্ষণাবলী আছে।
৪. জেলসেমিয়াম (Gelsemium):
উপসর্গ: ধীরে ধীরে ফ্লু-এর শুরু হওয়া; শরীরে ব্যথা, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, চক্ষু ভারী হয়ে আসা, এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া।
চিকিৎসা: ফ্লু-এর জন্য এই ওষুধটি কার্যকর, বিশেষত যখন রোগী খুব দুর্বল এবং অলস বোধ করে, তখন এটি উপশমে সহায়ক।
আরো বিশেষ পরিচায়ক লক্ষণাবলী আছে।
৫. ইউফ্রাসিয়া (Euphrasia):
উপসর্গ: চোখ থেকে পানি ঝরা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, এবং বারবার হাঁচি দেওয়া।
চিকিৎসা: সর্দি এবং ফ্লুর ক্ষেত্রে চোখের উপসর্গ থাকলে ইউফ্রাসিয়া অত্যন্ত কার্যকর। চোখ থেকে বেশি পানি ঝরার জন্য এটি সাধারণত ব্যবহৃত হয়।
আরো বিশেষ পরিচায়ক লক্ষণাবলী আছে।
৬. ফেরাম ফস (Ferrum Phosphoricum):
উপসর্গ: ফ্লু-এর প্রাথমিক পর্যায়; হালকা জ্বর; শরীরের ব্যথা; নাক দিয়ে সর্দি পড়া এবং হালকা গলা ব্যথা।
চিকিৎসা: এই ওষুধটি ফ্লু-এর প্রাথমিক অবস্থায় কার্যকর, যখন উপসর্গগুলো খুব তীব্র নয় এবং শরীরে মৃদু জ্বর এবং দুর্বলতা থাকে।
আরো বিশেষ পরিচায়ক লক্ষণাবলী আছে।
৭. ক্যালেন্ডুলা (Calendula):
উপসর্গ: সর্দি এবং ফ্লু-এর জন্য ক্যালেন্ডুলা গলার ব্যথা এবং কাশির জন্য ব্যবহৃত হয়।
চিকিৎসা: এটি জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং শ্বাসযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরো বিশেষ পরিচায়ক লক্ষণাবলী আছে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উপকারিতা:
1. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই: হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি সাধারণত অত্যন্ত মৃদু এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া ব্যবহার করা যায়।
2. শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ভবিষ্যতে সর্দি বা ফ্লু থেকে সুরক্ষা দেয়।
3. সমগ্র রোগীর চিকিৎসা: হোমিওপ্যাথিতে রোগের পাশাপাশি রোগীর মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নেওয়া হয়, যা সমগ্র দেহকে সুস্থ করে তোলে।
4. প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি: এই ওষুধগুলো সাধারণত প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি হয়, যা শরীরের ক্ষতি করে না।
কীভাবে সঠিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বেছে নিতে হয়:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সাধারণত রোগীর নির্দিষ্ট উপসর্গ এবং শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। তাই সঠিক ওষুধ বেছে নেওয়ার জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ফ্লু বা সর্দির ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থাপনা :
ফ্লু বা সর্দির ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থাপনা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, উপসর্গগুলো উপশম করা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এখানে ফ্লু বা সর্দির জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনার কিছু ধাপ তুলে ধরা হলো:
১. বিশ্রাম :
ফ্লু বা সর্দির সময় শরীরকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্রামের মাধ্যমে শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয় এবং দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
২. পর্যাপ্ত পানি পান :
সর্দি বা ফ্লু-এর সময় ডিহাইড্রেশন এড়ানোর জন্য প্রচুর পানি, গরম চা, স্যুপ বা অন্যান্য তরল পান করা উচিত। গলা শুষ্কতা এবং কাশি থেকে মুক্তি পেতে গরম পানীয় ভালো কাজ করে।
৩. পুষ্টিকর খাবার :
ফ্লু বা সর্দির সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। বিশেষত ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলমূল যেমন কমলা, লেবু, আমলকী ইত্যাদি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৪. ওষুধ সেবন :
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ: হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে রোগের উপসর্গ উপশম করা যেতে পারে। যেমন, আর্সেনিকাম অ্যালবাম, ব্রায়োনিয়া, আকোনাইট ইত্যাদি সর্দি ও ফ্লু-এর উপসর্গ উপশমে কার্যকর।
নাকের ডিকনজেস্টেন্ট: সর্দি জমে থাকলে নাকের ডিকনজেস্টেন্ট বা নাকের স্প্রে ব্যবহার করে আরাম পাওয়া যেতে পারে।
৫. গার্গল করা :
গলার ব্যথা ও ইনফেকশন থেকে মুক্তি পেতে লবণ মিশ্রিত গরম পানির গার্গল করা একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি গলার সংক্রমণ দূর করতে এবং ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
৬. বাষ্প নেওয়া (Steam Inhalation) :
নাক বন্ধ বা সাইনাসের চাপ কমাতে গরম পানির বাষ্প নেওয়া যেতে পারে। এতে শ্বাসযন্ত্রের পথ পরিষ্কার হয় এবং শ্বাস নিতে আরাম লাগে।
৭. সংক্রমণ প্রতিরোধ :
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি: নিয়মিত হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং হাঁচি-কাশি ঢেকে রাখা জরুরি। এটি রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি কমায়।
পরিষ্কার পরিবেশ: ঘর-বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা এবং যেসব জিনিসে নিয়মিত স্পর্শ করা হয় (যেমন দরজার হাতল, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সেগুলো জীবাণুমুক্ত রাখা উচিত।
৮. আর্দ্র পরিবেশ বজায় রাখা :
শীতকালে বা শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেলে ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে আর্দ্রতা বজায় রাখা যেতে পারে। এটি শ্বাসযন্ত্রকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে এবং কাশি ও সর্দির সমস্যা কমায়।
৯. ধূমপান ও এলকোহল পরিহার করা :
ধূমপান ও এলকোহল সর্দি-কাশি ও ফ্লুর উপসর্গ বাড়াতে পারে। এ সময় এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো ফুসফুসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
১০. চিকিৎসকের পরামর্শ :
যদি উপসর্গগুলো এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, বা উচ্চ জ্বর দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
***প্লিজ এটি সম্পর্কে সচেতন হোন এবং আপনার এবং পরিবারের জীবন বাঁচান, উপভোগ করুন ***"
-- ডাঃ কাজী সাইফ উদ্দীন আহমেদ
বি এস সি(বায়োকেমিস্ট্রি), ঢা.বি,
ডি এইচ এম এস (বোর্ড স্ট্যান্ড), ঢাকা
প্রভাষক,
ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ।
আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
>Share by:
Make a comments as guest/by name or from your facebook:
একদম সঠিক বলেছেন স্যার
উত্তরমুছুনখুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ পরামর্শ দিয়েছেন স্যার।
উত্তরমুছুনপাশে থেকে অনুপ্রানিত করার জন্য ধন্যবাদ
মুছুনMake a comment by facebook: