বন্ধ্যা বা বন্ধ্যাত্ব ( Infertility or Sterility) চিকিৎসা

বন্ধ্যা বা বন্ধ্যাত্ব ( Infertility or Sterility )

প্রখ্যাত বামপন্থী রাজনৈতিক নেতা কমরেড আব্দুল মতিন ১৯৭৮ সালে জুন মাসে তার এক সহকর্মী বন্ধু ও বন্ধুপত্নীকে সাথে নিয়ে এলেন আমার চেম্বারে। 
সাত বছর বিয়ে হয়েছে, অথচ সন্তান হচ্ছে না। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই মেডিকেল একজামিন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত যথেষ্ট চিকিৎসাও চলেছে, কিন্তু কোন ফল হয়নি। 
আমি সন্তান এনে দিতে পারবো কিনা জিজ্ঞাসা। বললাম, সন্তান দেওয়া আমার কাজ নয়, আমি চিকিৎসা করি, সন্তানহীনতা, যদি কোন রোগ হয়, তবে নিশ্চয়ই তা চিকিৎসা হবে। তবে চিকিৎসা চালাতে হবে দুজনেরই।

নাম : মিসেস ইলা বিশ্বাস, 
বয়স ২৬ বছর, 
শারীরিক গঠন : হালকা, পাতলা,  নাতিদীর্ঘ, শ্যামলা। বেশ হাসিখুশী শিক্ষিতা। হাতের লেখা চমৎকার।
 বিশ (২০) বছর  বয়সে বিয়ে হয়েছে। 

লক্ষণাবলী:

রজস্রাব: 
  • অনিয়মিত, 
  • ২১/২২ দিন অন্তর হয়। 
  • শরুর আগে থেকে ব্যথা,
  •  স্রাব শুরু হলে ব্যথা কমে যায়।
  •  স্রাব স্বাভাবিক।

মাথা: 
  • দুবছর ধরে সব সময় মাথাধরা থাকে। 
  • বেধে রাখলে বা ঠাণ্ডা ও গরম পানি পর্যায়ক্রমে দিলে উপশম, 
  • শুধু ঠাণ্ডা পানিতে বৃদ্ধি। 
  • গাড়ীর ঝাঁকানিতে মাথা ধরে। 
  • ধীরভাবে পদচারনাতেও উপশম।

চোখ: 
  • মাথা ধরার কিছুক্ষণ পরে চোখব্যথা করে। 
  • জ্বালাও আছে।
  •  ডান চোখে বেশী।

নাক: 
নাক দিয়ে সর্দি বেরোয় না।

কান: 
কানপাকা, পুঁজ বেরোয়।

হাত পাঃ 
  • হাত, পা জ্বালা করে। 
  • ঘামে না।

শ্বাসনালীর সামান্য হাঁপানির টানের মত মনে হয়। শীতকালে সাধারণত এরূপ প্রবণতা দেখা যায়।

পায়খানা: 
  • অপরিষ্কার, 
  • অনিয়মিত।
প্রস্রাব: 
  • গ্রীষ্মকালে প্রস্রাবের রং হলদে, 
  • পানি না খেলে যন্ত্রণা হয়।

 



পিপাসাঃ 
নেই। তবে প্রস্রাবের যন্ত্রণার জন্য জোর করে পানি খেতে হয়।

মন: 
  • প্রফুল্ল তবে নির্জনতাপ্রিয়। 
  • অন্ধকারে ভয়। 
  • মনে হয় কে যেন অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে।
  • পাগল হয়ে যাবার ভয়। 
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। 
  • সব কাজে ব্যস্ততা। 
  • স্মৃতিশক্তি কম।
কাতরতা : 
  • শীত-গ্রীষ্ম দুটোই অসহ্য। 
  • শরীরের চামড়া রুক্ষ খস খসে।
খাদ্য: 
  • ডিমের প্রতি আগ্রহ বেশী। 
  • মিষ্টি ও ঝালেও আগ্রহ আছে। 
  • লবণ পূর্বে বেশী খেতেন, এখন নিয়ন্ত্রিত। 
  • গরম খাদ্য পছন্দ।

স্নায়ুকেন্দ্রে যথেষ্ট আঘাতের ইতিহাস আছে। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্নায়ুকেন্দ্রে আঘাত পেয়েছেন। 
কাজী সাইফ এর চিন্তাধারা : তাছাড়া দীর্ঘ সাত বছর ধরে মা হতে না পারার আরেকটা মানসিক কষ্ট তাকে তেড়ে বেড়াচ্ছে । 
  • মাঝে শরীরে ব্যথা হয়। 
  • সে ব্যথা গরম সেঁকে উপশম। 
  • বুক ধড়ফড় কর। 
  • শরীর দুর্বল।

বংশগত :

পিতা :  মৃতপিতার মৃত্যু হাঁপানিতে। 
মা : জীবিত, মায়ের গ্যাস্ট্রিক আলসার, বাত। 
বোন : বোন পাগল। 
ভাই : ভাই পাগলাটে।

এনামনেসিস : সার্বিক লক্ষণ বিচারে, যে ওষুধ রুগিণীকে দেওয়া প্রয়োজন মনে হয়েছিলো, আমি তা দেইনি। 
কারণ আমার ধারণা, আহত স্নায়ু মেরামত না করে চিকিৎসা করতে যাওয়া মানেই ব্যর্থতা বরণ করা। 

নোট : জীবনে এর প্রমাণ বহুবার বহু ক্ষেত্রে পেয়েছি। শারীরিক আঘাত, মানসিক আঘাত, ভয়, প্রভৃতির প্রতিক্রিয়া বা কুফল চিকিৎসার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে, প্রথমে এসব দোষ দূর না করলে চিকিৎসা কাজে ব্যর্থতা আসতে বাধ্য।

 কাজেই, আমি হাইপেরিকাম দিয়েই শুরু করি।

চিকিৎসা:

৬.৭.৭৮:

হাইপেরিকাম ১/০ সাত দাগ। যথা নিয়মে সেব্য।

১২.৭.৭৮:

শরীরের ও মাথার ব্যথা বেড়েছিলো। পরে ৮ বার ঝাঁকি দিয়ে ওষুধ খাওয়ায় কমে গেছে। 

হাইপেরিকাম ২/০, পূর্বে নিয়মে।

২০.৭.৭৮:

কান দিয়ে আর পুঁজ পড়ে না। 
মাথার যন্ত্রণা নেই, তবে মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা দেখা দেয়, অবশ্য আগের তুলনায় প্রকোপ কম।

 হাইপেরিকাম ৩/০,পূর্বে নিয়মে।

৫.৮.৭৮:
  • মানসিক দিকে উন্নতি। 
  • পাগল হয়ে যাবার ভয় নেই। 
  • গত ২৭.৭.৭৮ তারিখে ঋতু শুরুর সাথে সাথে খুব ব্যথা, 
  • দ্বিতীয় দিন থেকে কমতে থাকে, 
  • তৃতীয় দিনে ব্যথা চলে যায়। 

হাইপেরিকাম ৪/০ একদিন অন্তর সেব্য।


৩০.৮.৭৮:

সামান্যই উন্নতি। 

হাইপেরিকাম ৫/০ একদিন অন্তর সেব্য।

২০.৯.৭৮

কাজী সাইফ নোট :  ডা : জহিরুল ইসলাম,  ২ মাস ১৪ দিন ধরে হাইপেরিকাম সেবন করতে দিয়েছিলেন।  তাতেই অনেক উন্নতি দেখা দেয়। 
  • হাত পা কামড়ায়, 
  • ব্যথা বিশ্রামে ও রাতে বৃদ্ধি, 
  • উঠে হেঁটে বেড়াতে হয়। 


রাসটক্স ২/০।

৫.১০.৭৮ঃ

কমছে। 

রাসটক্স ৩/০।


১৫.১০.৭৮:

এখনো ব্যথা আছে। 

রাসটক্স ৪/০।


২৪.১০.৭৮:
  • ব্যথা পূর্বের মতো নেই, 
  • হাত পা কামড়ায় না, 
  • তবে মাঝে মাঝে পিঠে চিরে ফেড়ে যাবার মতো ব্যথা নীচের দিকে যায়, 
  • খুব মাথা ঘামে। 

ক্যালকেরিয়া কার্ব ১/০।

১.১১.৭৮:

ব্যথা কমছে।
 
ক্যালকেরিয়া ২/০।

৯.১১.৭৮:

ব্যথা প্রায় নেই। 

ক্যালকেরিয়া ৩/০।

২৪.১১.৭৮

গত ১১/১১/৭৮ তারিখের ঠিক এক মাস পরে ঋতু হয়েছে। 
কোন ব্যথা ছিলো না। 
এদিন জানা গেলো, ছোটবেলায় গাছ থেকে পড়ে আঘাত লেগেছিলো। 

ন্যাট্রম সালফ ২/০ থেকে ৫/০ পর্যন্ত।

২৪.১২.৭৮ঃ
  • ঋতু হয়নি। 
  • শরীর গর্ভ লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। 
  • টক ঢেকুর,
  • ক্ষুধা, 
  • অরুচি, 
  • শরীর ভারী, 
  • বমি, বমিবমি ভাব। 

ক্যালকেরিয়া ৫/০ ও ৬/০।

 সাইফ নোট : ০৫ মাস ১৮ দিন চিকিৎসার পর রোগীনি গর্ভবতী হন। চিকিৎসার সময় ডাক্তার এবং রোগীরদের অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হয়।

১৬.১২.৭৮:

কোনো অসুবিধে নেই। অনৌষধি।

৭.২.৭৯:

ভালো। অনৌষধি।

২৭.২.৭৯: 
  • সাড়ে তিন মাসের গর্ভ। 
  • প্রস্রাবের পরিমাণ অল্প, শেষে জ্বালা। 
  • বুকে ব্যথা, 
  • সর্দি, 
  • শরীরেও ব্যথা, 
  • মনে আশঙ্কা, 
  • গোছল করতে ইচ্ছে হয় না, 
  • করলে ভালো লাগে। 
মেডোরিনাম ৩/০।

৭.৩.৭৯:

উন্নতির দিকে। 

মেডোরিনাম ৪/০।

১৬.৩.৭৯:

মাথার বাঁ দিক, বাঁ কান ও বাঁ চোখে প্রচণ্ড ব্যথা। 

স্পাইজেলিয়া ১/০, পাঁচ ঘণ্টা অন্তর সেব্য।

২৫.৩.৭৯: 
  • প্রায় সাড়ে চার মাসের গর্ভ। 
  • ব্যথা নেই বলে কয়দিন বিলম্বে এসেছেন,
  • তবে মাথায় সামান্য অসুবিধে বোধ হয়। গরম অসহ্য। 
মেডোরিনাম ৫/০।

৫.৪.৭৯:
  • মোটামুটি ভালো। 
  • তবে আবার এখন মনে হয় যেন পাগল হয়ে যাবেন। 
  • কিংবা অন্য কি একটা ঘটবে। 
মেডোরিনাম ৬/০।

১৫.৪.৭৯:

মনের ভাবটা অনেক কম। 

মেডোরিনাম ৭/০।

২৪.৪.৭৯:
  • প্রায় সাড়ে পাচঁ মাসের গর্ভ।  
  • কোন অসুবিধে নেই। 
  • শুধু শরীর একটু ভারী। 
মেডোরিনাম ৮/০।

২.৫.৭৯:

সুস্থ। 

মেডোরিনাম ৯/০।

১৫.৫.৭৯: 
  • দূর্বল। 
  • এক জায়গায় দাঁড়ানো যায় না। 
  • দুধ খেলে বমি আসে। 
  • গোছল করতে মোটেই ইচ্ছে করে না। 
  • মাস খানেকের জন্যে দেশের বাড়ীতে যাবেন। 

সালফার ১০০০ শক্তি এক দাগ। সকালে খালি পেটে এক বার মাএ। 

খাবার নির্দেশ দিয়ে বলে দিলাম দুমাসের মধ্যে আর ওষুধ লাগবে না। বাড়ী থেকে ফিরে এসে দেখা করার নির্দেশ দিলাম।

১৮.৭.৭৯: 
 আট মাসের গর্ভ। 
তারিখে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে এসে বললেন একজন আত্মীয়ের পীড়াপীড়িতে গাইনোকোলজিষ্টের কাছে যেতে হয়েছিলো। 

তিনি নাকি বলছেন, পেলভিস অস্বাভাবিকরূপে ক্ষুদ্র, ফলে প্রসবে অসুবিধে হবে। 

অপারেশন ছাড়া প্রসব হবে না। 

এক মাস পূর্বে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখার জন্যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

রাগাম্বিত এর কণ্ঠে বললাম। 
তবে এখানে এসেছিলেন কেনো? 
এখনই বা এসেছেন কিজন্যে? 
যে ব্যবস্থা গর্ভে সন্তান দিতে পারে, সে ব্যবস্থা সম্ভবত সেই সন্তান বের করার ক্ষমতা রাখে। 
আপনারা এখন যেতে পারেন।

শেষপর্যন্ত তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারলাম না। 
লক্ষণাদি জেনে দেখলাম ওষুধের প্রয়োজন নেই।

১৫.৫.৭৯ তারিখে প্রদত্ত সালফারের ক্রিয়া চলছে। 

কিছু একটা না দিলে ভুল বুঝবেন বলে অনৌষধি

২৭.৭.৭৯: 

একটু জ্বর জ্বর ভাব। অনৌষধি

৪ঠা আগষ্ট ১৯৭৯ তারিখে রুগিণী এক কন্যা প্রসব করেন। 
ছুরি কাঁচি চালাতে হয়নি। উভয়েই সুস্থ।

নোট :  
হ্যানিম্যানের অর্গানন অফ মেডিসিন বলছে,  রোগীকে প্রথমেই কখনো constitutional medicine দিতে নেই, স্বল্পক্রিয় ওষুধের ভিতর থেকে যেকোনো একটি ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করিতে হইবে। 
  
হ্যানিম্যানের অর্গানন অফ মেডিসিন হোমিওপ্যাথির মৌলিক তত্ত্ব এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। এখানে, রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমিকতার ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

১. রোগীর প্রাথমিক অবস্থার মূল্যায়ন (First Prescription)

অর্গানন অফ মেডিসিনের § 82-104 অনুচ্ছেদে হ্যানিম্যান বলেন, রোগীকে প্রথমে একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি রোগীর জটিল বা গভীরতর কোনো constitutional সমস্যা থাকে, তবে সরাসরি গভীর কার্যক্ষম ওষুধ (যেমন: Sulphur, Lycopodium, Psorinum) দিয়ে চিকিৎসা শুরু করলে রোগীর লক্ষণগুলো আরও তীব্র হতে পারে। এজন্য, প্রাথমিকভাবে হালকা বা "স্বল্পক্রিয়" ওষুধ দিয়ে রোগীর প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

২. স্বল্পক্রিয় ওষুধের গুরুত্ব

স্বল্পক্রিয় ওষুধ (যেমন: Aconite nap, Nux vomica, Pulsatilla, Arnica, Hyparicum ) সাধারণত তাত্ক্ষণিক লক্ষণ উপশমে ব্যবহৃত হয়। এগুলো রোগীর শরীরে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে এবং পরবর্তী গভীরতর চিকিৎসার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে।

যদি রোগীর লক্ষণগুলি খুব তীব্র এবং আকস্মিক হয়, তাহলে একের পর এক উচ্চ-ক্রিয়াশীল ওষুধ ব্যবহার বিপরীত প্রতিক্রিয়া আনতে পারে।

হ্যানিম্যানের মতে, ধীরে ধীরে রোগীর শরীরকে ওষুধ গ্রহণের জন্য উপযোগী করে তোলা উচিত।


৩. মায়াজম এবং গভীরতর চিকিৎসা

§ 204-206 অনুচ্ছেদে, হ্যানিম্যান বলেছেন যে, মায়াজম (Psora, Sycosis, Syphilis) নিরাময়ে constitutional medicine গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তা প্রয়োগের সঠিক সময় নির্ধারণ করতে হবে।

রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা যদি খুব দুর্বল বা অস্থিতিশীল হয়, তবে গভীরতর ওষুধ প্রয়োগ করা বিপর্যয়কর হতে পারে।

এজন্য, রোগের প্রাথমিক স্তরে শুধুমাত্র সেসব ওষুধ ব্যবহার করতে হবে, যেগুলো রোগীর অস্থির লক্ষণ সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।


৪. ধাপে ধাপে চিকিৎসা

হ্যানিম্যানের চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ধাপে ধাপে চিকিৎসা। এর মানে হলো:

প্রথমে রোগীর তাত্ক্ষণিক উপসর্গগুলির উপশম করা।

এরপর রোগের গভীর মায়াজমিক কারণ নির্ণয় করে ধীরে ধীরে constitutional medicine প্রয়োগ করা।


উদাহরণ:

যদি কোনো রোগী উদ্বেগ (anxiety) এবং বদহজমের সমস্যা নিয়ে আসেন, এবং জানতে পারলেন কিছুদিন পূর্বে তার মা মারা গিয়েছেন, তাহলে সরাসরি Sulphur বা Natrum muriaticum না দিয়ে প্রথমে Nux vomica বা Ignatia,  বা Hyparicum দেওয়া যেতে পারে। এটি রোগীর শরীরকে শক্তিশালী করতে এবং constitutional medicine গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।


সারসংক্ষেপ

অর্গানন অফ মেডিসিনের আলোকে, রোগীর চিকিৎসায় পর্যায়ক্রমিকতা এবং রোগীর বর্তমান অবস্থার ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বল্পক্রিয় ওষুধের মাধ্যমে রোগীর শরীরকে প্রস্তুত করার পরই গভীর কার্যক্ষম constitutional medicine ব্যবহার করা উচিত। এই পদ্ধতি রোগীর সুস্থতার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর।

উৎসঃ কেস হিস্ট্রি-২০  বন্ধ্যা বা বন্ধ্যাত্ব ( Infertility or Sterility) ।  অভিজ্ঞতার পঞ্চাশ বছর  (হোমিওপ্যাথিক কেসহিষ্ট্রি)  ১ম ও ২য় খণ্ড একত্রে  ডাঃ জহরুল ইসলাম । 


রুগীলিপি বিশ্লেষণ এবং রূপদানেঃ

-- ডাঃ কাজী সাইফ উদ্দীন আহমেদ
বি এস সি(বায়োকেমিস্ট্রি), ঢা.বি, 
ডি এইচ এম এস (বোর্ড স্ট্যান্ড), ঢাকা    
প্রভাষক, 
ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ। 


আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
>Share by:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন


Make a comments as guest/by name or from your facebook:


Make a comment by facebook:
নবীনতর পূর্বতন