আসসালামু আলাইকুম।
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। আজকের এই দিনে বিশ্বের সকল শিক্ষকদের কে শ্রদ্ধার সাথে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজকের এই দিনে স্কুল থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যত শিক্ষকদের হাতে আমার পড়াশোনা বা হাতে খড়ি হয়েছে, যাদের ভালোবাসা,স্নেহ ও মমতায় আজ এ পর্যন্ত এসেছি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি এবং শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সকল শিক্ষক শিক্ষিকাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে সমান শ্রদ্ধার ও ভালোবাসার হয়ে থাকে। তারপরও প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীর কাছেই কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা একটু বেশি প্রিয় হয়ে থাকে এর বেশ কিছু কারণ থাকে। আমার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষক প্রিয় ছিলেন। আমার কোন সমস্যা কোন পরামর্শের দরকার হলে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে আমি পরামর্শ চাইতে পারতাম। এবং ওনারাও আমাকে সুন্দর দিক নির্দেশনা দিতেন।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করব ঠিক তখনই অসুস্থ হয়ে পড়ি। সেই অসুস্থতা থেকে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করেও যখন সুস্থ হচ্ছিলাম না। তখন এক শুভাকাঙ্ক্ষীর মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত সত্য চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিওপ্যাথির একজন চিকিৎসকের সন্ধান পাই। ওনার চিকিৎসায় যখন আমি সুস্থতার দিকে আসতে শুরু করি তখন হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে জানতে আমার আগ্রহ তৈরি হয়। আমি ইন্টারনেট এর সাহায্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে জানি এবং সিদ্ধান্ত নেই সব কিছু বাদ দিয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছি আমি একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হবো। আল্লাহ আমার সেই ইচ্ছে পূরণ করেছেন। এখন আমি আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি এবং অসুস্থ মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। এই রাস্তায় হাঁটা আমার জন্য সহজ ছিলনা। (এই বিষয় নিয়ে অন্য দিন লিখবো) সত্য প্রকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিওপ্যাথির রাস্তায় হাঁটার সময় যতবারই পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে ততবারই আগলে ধরেছেন এবং সবচেয়ে বেশি যার অবদান তিনি হলেন আমার প্রিয় শিক্ষক ডা. কাজী সাইফ উদ্দিন আহমেদ, প্রভাষক ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ঢাকা। যিনি আমার দেখা একজন সংস্কার মুক্ত, ব্যক্তি স্বাতন্ত্র , পর্যবেক্ষণশীল, ডা. হ্যানিম্যানের আদর্শিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক।
ডা. কাজী সাইফ উদ্দিন স্যার আমাকে গত ছয় (৬) বছর ধরে ডা. হ্যানিম্যান রচিত অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের আলোকে নিজের ব্যাক্তিগত চেম্বারে সরাসরি হাতে কলমে পড়াশোনার পাশাপাশি রোগীদের সকল প্রকার ব্যাবস্থাপনা, রোগী লিপি, রোগীর জন্য সঠিক একক ঔষধ নির্বাচন, রোগীর জন্য সূক্ষ্ম মাত্রায় ঔষধ প্রস্তুত, ঔষধ প্রয়োগ, রোগী পর্যবেক্ষণ, ঔষধের শক্তি মাত্রা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে শিখিয়েছেন।( যেখানে প্রায় হাজার রোগী) শুধু তাই নয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য স্যার যেখানে যেখানে যান আমাকেও সঙ্গে করে নিয়ে যান। আগে রোগীর রোগ নিয়ে যে ভয় পেতাম এখন আর পাইনা কারন স্যারের পরামর্শে নিজ হাতে ওষুধ তৈরি করে রোগীর উপর প্রয়োগ করে, যে ফলাফল আমি দেখেছি তা অবিশ্বাস করি কি করে! আমি দেখেছি যেখানে গ্যাংগ্রিনের রোগীর পা কেটে ফেলার জন্য অন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন সেই পা মাত্র কয়েক মাসে ভালো হয়ে যেতে। যেখানে আমি দেখেছি মাথায় ৭ টি টিউমার নিয়েও রোগী সুন্দর ভাবে এখনও বেচে আছেন। যেখানে স্বামী স্ত্রী সংসার করবে না চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
স্যার মাত্র কিছু দিন সময় সিদ্ধান্ত পিছিয়ে নিতে পরামর্শ দেন। সেই স্বামী স্ত্রী এখন কত সুন্দর সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করছে। আমি কি করে আল্লাহর এই অশেষ রহমত অস্বীকার করি। অনেক শিক্ষক ও চিকিৎসকের কাছে পরামর্শের জন্য গিয়েছি বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা পেয়েছি ওনাদেরকেও ধন্যবাদ। কিন্তু ডা. কাজী সাইফ উদ্দিন আহমেদ স্যারের কাছ থেকে অনেক পেয়েছি। আমি যখন ডা. হ্যানিম্যানের অর্গানের সাথে বাস্তবে যারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করেন (অধিকাংশ) তাদের সাথে মিল পাইনি দিশেহারা হয়ে গেছি ঠিক তখনই আল্লাহর ইচ্ছায় স্যারের সাথে আমার যোগাযোগ ও পরিচয় হয়।আমি তখন ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। স্যারের পরামর্শেই আমি ডিএইচএমএস কোর্সে ভালো ফলাফল করে উত্তীর্ণ হই। প্রথম স্যারের সাথে দেখা হয় ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা. কাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্যারের চেম্বারে। স্যার অর্গানন নিয়ে আলোচনা করতে ছিলেন।
এই আলোচনা শোনে মনে হয়েছে হয়তো আমি সত্য রাস্তার সন্ধান পেয়েছি । সত্যি স্যারের সাথে পরিচয় হবার পর সেই রাস্তা আমি পেয়েছি। যিনি অর্গানের মূলনীতি মেনে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আমি কৃতজ্ঞ আমি সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছি এবং সঠিক পথে আছি। মহান আল্লাহ যেন আমাকে সব সময় এই সঠিক পথে রাখেন। আবারও সকল শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ করছি অবশেষে সকলের কাছে দোয়া চাই।
--- মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম কালন, DHMS (Diploma in Homoeopathic Medicine and Surgery), Dhaka.
--- মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম কালন, DHMS (Diploma in Homoeopathic Medicine and Surgery), Dhaka.
>Share by:
Make a comments as guest/by name or from your facebook:
Make a comment by facebook: