মূত্রপাথরী
(Renal calculi or Renal stone)
মূত্রপাথরী (Renal Calculi) কী:
মূত্রপাথরী হলো কিডনি বা মূত্রতন্ত্রের মধ্যে খনিজ এবং লবণের স্ফটিক থেকে তৈরি কঠিন পদার্থ। এটি মূত্রের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ জমে তৈরি হয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে সহজে বের হতে পারে না। পাথরগুলো ছোট ছোট হতে পারে অথবা বড় আকার ধারণ করতে পারে, যা প্রস্রাবের পথে বাধা সৃষ্টি করে।
মূত্রপাথরীর আবিষ্কার:
মূত্রপাথরী রোগ প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। এর প্রমাণ মিশরের মমির শরীরে পাওয়া যায়, যা প্রায় ৭০০০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। আধুনিক কালে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে মূত্রপাথরীর সঠিক নির্ণয় সম্ভব হয়েছে, বিশেষত ১৯৬০-এর দশকে সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে কিডনি ও মূত্রপাথর নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে।
- Renal Calculi
- Kidney Stones
- Nephrolithiasis (কিডনিতে পাথর হওয়া)
- Urolithiasis (মূত্রতন্ত্রে পাথর হওয়া)
মূত্রপাথরীর কারণ:
মূত্রপাথরী অনেকগুলো কারণে হতে পারে:
1. মূত্রে বেশি মাত্রায় খনিজ পদার্থ: যেমন ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ফসফেট বা ইউরিক এসিড।
2. পানি কম পান করা: পর্যাপ্ত পানি না পান করলে মূত্রের ক্ষতিকর পদার্থগুলো জমে যায়, ফলে পাথর তৈরি হয়।
3. খাদ্যাভ্যাস: উচ্চ প্রোটিন, লবণ, অক্সালেট (যেমন পালং শাক, বাদাম), ও চিনি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
4. পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের কারও কিডনি পাথর থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
5. স্বাস্থ্য সমস্যা: যেমন হাইপারপারাথাইরয়ডিজম, গাউট, রেনাল টিউবুলার অ্যাসিডোসিস।
6. ওষুধ: কিছু ওষুধ যেমন ডাইইউরেটিকস এবং ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট পাথর সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়ায়।
এলোপ্যাথিক ওষুধের সাইড ইফেক্ট
এলোপ্যাথিক ওষুধের সাইড ইফেক্ট কিডনি স্টোন (Renal Stone) বা মূত্রপাথরীর অন্যতম কারণ হতে পারে। কিছু ওষুধ শরীরে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত বিভিন্ন উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ফসফেট এবং ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে শুরু করে, যা সময়ের সঙ্গে কিডনিতে পাথর তৈরি করে। এই প্রক্রিয়া ও বিভিন্ন ধরনের এলোপ্যাথিক ওষুধ কীভাবে কিডনি স্টোনের কারণ হতে পারে, তা এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
১. ক্যালসিয়াম ভিত্তিক ওষুধ ও সাপ্লিমেন্ট:
ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ও অ্যান্টাসিড: কিছু এলোপ্যাথিক ওষুধ যেমন ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট বা অ্যান্টাসিড (ক্যালসিয়াম কার্বোনেট) দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হলে কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শোষণের কারণে এটি মূত্রনালিতে ক্যালসিয়াম-অক্সালেট পাথর গঠনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
কারণ: যখন শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম থাকে এবং এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে পুরোপুরি বের হয়ে যেতে পারে না, তখন তা কিডনিতে জমা হতে শুরু করে। এটি ক্যালসিয়াম অক্সালেট বা ক্যালসিয়াম ফসফেটের আকারে পাথর তৈরি করতে পারে।
সাইড ইফেক্ট: দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামযুক্ত ওষুধ গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে, যা পরে ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, এবং প্রস্রাবের প্রবাহে সমস্যা তৈরি করে।
২. ডাইরেটিকস (মূত্রবর্ধক ওষুধ):
উদাহরণ: Hydrochlorothiazide, Furosemide, এবং অন্যান্য ডাইরেটিক ওষুধ।
কার্যপ্রণালী: ডাইরেটিকস ওষুধের কাজ হলো শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও খনিজ পদার্থ বের করে দেওয়া। যদিও এগুলো হাইপারটেনশন এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে শরীরে খনিজের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, বিশেষ করে ক্যালসিয়াম এবং ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়।
কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা: ডাইরেটিক ওষুধ ব্যবহারের ফলে প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ও ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব বাড়ে, যা কিডনি স্টোন গঠনের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি বিশেষত ক্যালসিয়াম-ফসফেট এবং ইউরিক অ্যাসিড স্টোন তৈরিতে সহায়ক।
সাইড ইফেক্ট: দীর্ঘমেয়াদে ডাইরেটিক ওষুধ গ্রহণ করলে কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, যা পরবর্তীতে প্রস্রাবে ব্যথা, রক্তক্ষরণ এবং প্রস্রাবের অবরুদ্ধতা সৃষ্টি করতে পারে।
৩. অ্যান্টিবায়োটিক (Sulfonamides):
উদাহরণ: Sulfadiazine, Trimethoprim-sulfamethoxazole।
কার্যপ্রণালী: এই ধরনের ওষুধ সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটি শরীরে সলফেট (Sulphate) জমা করতে পারে।
কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা: Sulfonamide ভিত্তিক ওষুধ শরীরে সলফেটের অতিরিক্ত জমার কারণে সলফেট কিডনি স্টোন তৈরি করতে পারে। বিশেষত এই ধরনের ওষুধের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে পাথর তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
সাইড ইফেক্ট: Sulfonamides-ভিত্তিক ওষুধ গ্রহণের ফলে সলফেট পাথর গঠিত হতে পারে, যা মূত্রনালিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং প্রস্রাবের সময় তীব্র ব্যথা এবং জ্বালার কারণ হতে পারে।
৪. অ্যান্টি-গাউট (Anti-Gout Drugs):
উদাহরণ: Allopurinol, Probenecid।
কার্যপ্রণালী: ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত গাউট রোগীদের জন্য এই ওষুধগুলো দেওয়া হয়।
কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা: যদিও এই ওষুধগুলো ইউরিক অ্যাসিড কমায়, তবে কখনো কখনো এর অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমা করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, ফলে ইউরিক অ্যাসিড পাথরের সৃষ্টি হয়।
সাইড ইফেক্ট: অ্যান্টি-গাউট ওষুধের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে কিডনিতে ইউরিক অ্যাসিড স্টোন তৈরির ঝুঁকি থেকে যায়।
৫. অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধ (Indinavir):
উদাহরণ: Indinavir (HIV চিকিৎসায় ব্যবহৃত)।
কার্যপ্রণালী: এই ওষুধটি HIV রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তবে শরীরে প্রোটিন জমার কারণেও এটি পাথর তৈরি করতে পারে।
কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা: Indinavir ওষুধের কারণে শরীরে প্রোটিনের ঘনত্ব বেড়ে গেলে তা কিডনিতে জমা হয়ে Indinavir স্টোন তৈরি করতে পারে।
সাইড ইফেক্ট: HIV চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই ওষুধের ফলে Indinavir স্টোনের ঝুঁকি বাড়ে, যা কিডনিতে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৬. ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত সাপ্লিমেন্ট:
উদাহরণ: Vitamin D সাপ্লিমেন্ট।
কার্যপ্রণালী: ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণের ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা: অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শোষিত হলে তা কিডনিতে জমা হয়ে পাথর তৈরি করতে পারে, বিশেষত ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথরের ক্ষেত্রে।
সাইড ইফেক্ট: ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের অতিরিক্ত ব্যবহারে কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, যা প্রস্রাবে কষ্ট এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।
৭. টপিরামেট (Anticonvulsant):
উদাহরণ: Topiramate।
কার্যপ্রণালী: Topiramate সাধারণত মৃগী রোগ এবং মাইগ্রেনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তবে এটি শরীরের অ্যাসিড-বেইস ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা: শরীরের অ্যাসিড বেইস ভারসাম্য পরিবর্তিত হলে ক্যালসিয়াম ফসফেট জমা হয়ে পাথর তৈরি হয়।
সাইড ইফেক্ট: Topiramate ওষুধ ব্যবহারে ক্যালসিয়াম ফসফেট স্টোন তৈরির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৮. চিকিৎসার পরামর্শ:
ওষুধ ব্যবহারের আগে: চিকিৎসকের নির্দেশিকা অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। অপ্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্ট বা ডাইরেটিকস ওষুধ না খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
সতর্কতা: যেসব ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে কিডনি স্টোনের কারণ হতে পারে, সেগুলোর ব্যবহার নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত যাতে প্রস্রাবের মাধ্যমে খনিজ পদার্থগুলো বের হয়ে যেতে পারে।
উপসংহার: এলোপ্যাথিক ওষুধের কিছু সাইড ইফেক্ট কিডনি স্টোন তৈরি করতে পারে। এই কারণে, যেকোনো ওষুধ দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত ইনভেস্টিগেশন করানো উচিত, যাতে কিডনি স্টোনের ঝুঁকি কমানো যায়।
প্রকারভেদ:
1. ক্যালসিয়াম পাথর: সবচেয়ে সাধারণ এবং ক্যালসিয়াম অক্সালেট বা ক্যালসিয়াম ফসফেট থেকে তৈরি হয়।
2. স্ট্রুভাইট পাথর: সংক্রমণের ফলে হয় এবং দ্রুত আকারে বাড়তে পারে।
3. ইউরিক এসিড পাথর: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য বেশি খাওয়ার ফলে হতে পারে, বিশেষত গাউট রোগীদের মধ্যে।
4. সিস্টিন পাথর: সিস্টিনুরিয়া নামক বংশগত রোগের কারণে হয়, যা মূত্রে সিস্টিন নামক একটি অ্যামিনো এসিডের অতিরিক্ত উপস্থিতি থেকে তৈরি হয়।
লক্ষণাবলী:
- কোমরে বা তলপেটে তীব্র ব্যথা, যা মূত্রনালির দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
- প্রস্রাবে রক্ত।
- প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা।
- ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ।
- বমি বমি ভাব বা বমি।
- জ্বর এবং ঠান্ডা লাগা, যদি সংক্রমণ থাকে।
ইনভেস্টিগেশন (পরীক্ষা):
1. প্রস্রাব পরীক্ষা: পাথরের প্রকার নির্ধারণ ও সংক্রমণ খুঁজে পেতে।
2. রক্ত পরীক্ষা: ক্যালসিয়াম, ফসফেট এবং ইউরিক এসিডের মাত্রা নির্ধারণ করতে।
3. ইমেজিং টেস্ট: কিডনি ও মূত্রতন্ত্রে পাথরের অবস্থান ও আকার নির্ণয়ের জন্য আলট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান, এক্স-রে বা আইভিপি (Intravenous Pyelogram) করা হয়।
জটিলতা:
- মূত্রনালীতে বাধা সৃষ্টি করা।
- কিডনি সংক্রমণ হওয়া।
- কিডনির কার্যকারিতা হারানো।
- মূত্রথলিতে সংক্রমণ বা ক্ষত।
- রেনাল ফেইলিউর (কিডনি ব্যর্থতা)।
ভবিষ্যৎ ফলাফল:
মূত্রপাথরীর সঠিক চিকিৎসা না হলে কিডনি ড্যামেজ বা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়া পুনরায় পাথর হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।
প্রতিরোধ:
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা (৮-১০ গ্লাস)।উচ্চ অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন পালং শাক, বাদাম কম খাওয়া।সঠিক ডায়েট মেনে চলা, যেখানে ক্যালসিয়াম ও ইউরিক এসিডের সঠিক ভারসাম্য রাখা হয়।নিয়মিত শরীরচর্চা করা।লবণ ও প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া।
ঘরোয়া চিকিৎসা:
1. পর্যাপ্ত পানি পান: বেশি পানি পান করলে মূত্রের মাধ্যমে পাথর সহজে বের হতে পারে।
2. লেবু ও অলিভ অয়েল: লেবুর রসে সাইট্রেট থাকে, যা পাথর ভেঙে দেয় এবং বের হতে সাহায্য করে।
3. আপেল সিডার ভিনেগার: এতে থাকা এসিটিক এসিড পাথর ভেঙে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হতে সাহায্য করে।
4. বাজরা ও বার্লি: এই খাবারগুলো মূত্রপাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ব্যবস্থাপনা:
ছোট মূত্রপাথর সাধারণত নিজে নিজেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তবে কিছু ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়:
1. Fluid Therapy: প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
2. Pain Management: ব্যথা কমানোর জন্য NSAIDs বা Narcotics দেওয়া হয়।
3. Tamsulosin: মূত্রনালী প্রসারিত করে মূত্রপাথরকে বের হতে সাহায্য করে।
4. Lithotripsy (ESWL): Shockwave এর মাধ্যমে পাথর ছোট ছোট টুকরো করে দেওয়া হয়, যাতে তা প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:
- যদি প্রচণ্ড ব্যথা হয় যা সহ্য করা যায় না।
- প্রস্রাবে রক্ত।
- বারবার বমি।
- জ্বর বা সংক্রমণের লক্ষণ।
- প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে বা প্রস্রাবের প্রবাহ খুব কম হলে।
খাদ্যাভ্যাস:
যা খাওয়া যাবে:
- প্রচুর পানি।
- লেবু, কমলালেবু।
- কম লবণ ও কম প্রোটিনযুক্ত খাবার।
- শসা, তরমুজ, বেদানা।
যা খাওয়া যাবে না:
- অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার (যেমন পালং শাক, বাদাম)।
- উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার।
- অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার।
- প্রসেসড মাংস, চিজ।
মূত্রপাথরীর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :
মূত্রপাথরীর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও তার দার্শনিক ভিত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি, যাতে এই চিকিৎসা পদ্ধতির মূল চিন্তা এবং এর কার্যকারিতা স্পষ্ট হয়।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মূল দর্শন:
হোমিওপ্যাথির মূল ধারণা হলো "Like cures like" বা সমস্যার মতো সমস্যার সমাধান।
এর মানে হচ্ছে, যে উপাদানটি সুস্থ মানুষের মধ্যে কিছু লক্ষণ তৈরি করে, সেই উপাদানই রোগীর মধ্যে একই ধরনের লক্ষণ নিরাময় করতে পারে।
এই পদ্ধতিতে রোগীর শারীরিক লক্ষণের পাশাপাশি মানসিক ও আবেগগত দিকগুলোও বিবেচনা করা হয়।
হোমিওপ্যাথির চিকিৎসায় মূলত তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়:
1. ব্যক্তিগতকরণ (Individualization): প্রতিটি রোগী আলাদা এবং তাদের রোগের ধরনও আলাদা। একজন রোগীর জন্য যে ঔষধ কার্যকর, অন্য রোগীর জন্য তা কার্যকর নাও হতে পারে। তাই রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, রোগের ইতিহাস, এবং পরিবেশগত প্রভাব সবকিছু বিবেচনা করে নির্দিষ্ট ঔষধ নির্বাচন করা হয়।
2. জীবনীশক্তি (Vital Force): হোমিওপ্যাথির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হলো প্রতিটি জীবের মধ্যে এক ধরনের শক্তি বা প্রাণশক্তি থাকে যা শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন এই শক্তি কোনোভাবে ব্যাহত হয়, তখন শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এই শক্তিকে পুনরুদ্ধার করে রোগ নিরাময় করে।
3. মিয়াজম তত্ত্ব (Miasmatic Theory): হ্যানিম্যান তিনটি প্রধান মিয়াজমকে শনাক্ত করেন— Psora, Sycosis, এবং Syphilis। হ্যানিম্যানের মতে, রোগের মূল কারণ এই মিয়াজমগুলোতে লুকিয়ে থাকে। মূত্রপাথরীর ক্ষেত্রে মূলত Sycosis মিয়াজমের ভূমিকা থাকে, যা শরীরে অতিরিক্ত ক্ষতিকর পদার্থ জমা করে পাথর তৈরি করে।
মূত্রপাথরীর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ:
১. Berberis Vulgaris:
লক্ষণ: রোগীর যদি কোমরের নিচের দিকে বা তলপেটে তীব্র ব্যথা থাকে এবং তা প্রস্রাবের সময় বৃদ্ধি পায়, তখন Berberis Vulgaris অত্যন্ত কার্যকর। এটি মূত্রনালির সংক্রমণ এবং পাথর গঠনের কারণে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। মূত্রের সঙ্গে ক্ষুদ্র পাথর বা রেত বের হলে এই ঔষধ ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার: মূত্রের সময় তীব্র জ্বালা বা কষ্ট থাকলে এই ঔষধ বেশ কার্যকর।
২. Lycopodium Clavatum:
লক্ষণ: পাথর কিডনিতে হলে এবং মূত্রনালীতে পাথরের কারণে মূত্র প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে বা বাধা সৃষ্টি করলে Lycopodium খুব ভালো ফল দেয়। বিশেষ করে যদি রোগী প্রচুর পানি পান করলেও প্রস্রাব করতে অসুবিধা হয় এবং পাথর ক্ষুদ্র আকারের হয়, তখন এটি কার্যকর।
ব্যবহার: এটি মূত্রের সময় পাথর প্রস্রাবের সঙ্গে বের হতে সাহায্য করে এবং ব্যথা কমায়।
৩. Hydrangea Arborescens:
লক্ষণ: ছোট ছোট পাথর, যা প্রায়ই প্রস্রাবের সময় বের হয়, এই ঔষধটি তাতে কার্যকর। এটি মূত্রনালির প্রদাহ কমাতে এবং ক্ষুদ্র পাথর ভাঙতে সাহায্য করে।
ব্যবহার: প্রস্রাবে রক্ত বা মুত্রথলিতে প্রদাহ থাকলে এটি ব্যবহার করা হয়।
৪. Sarsaparilla:
লক্ষণ: প্রস্রাবের শেষ দিকে তীব্র ব্যথা হলে এবং পাথর মূত্রনালির নিচের দিকে অবস্থান করলে Sarsaparilla ব্যবহার করা হয়। এটি বিশেষত মূত্রের সময় ব্যথা এবং জ্বালার লক্ষণগুলিকে উপশম করে।
ব্যবহার: মূত্রনালীতে সংক্রমণ থাকলে বা পাথরের জন্য জ্বালা হলে এটি কার্যকর।
৫. Cantharis:
লক্ষণ: যদি প্রস্রাবে তীব্র ব্যথা হয় এবং মূত্রের সময় ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দেখা দেয়, তাহলে Cantharis ব্যবহৃত হয়। এটি মূত্রনালির সংক্রমণ এবং প্রদাহের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর।
ব্যবহার: এটি মূত্রের সময় ব্যথা ও জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।
৬. Calcarea Carbonica:
লক্ষণ: ক্যালসিয়াম ডিপোজিটের কারণে যখন পাথর তৈরি হয় এবং রোগী দুর্বলতা বা ঠান্ডার প্রতি সংবেদনশীল থাকে, তখন Calcarea Carbonica ব্যবহার করা হয়। এটি শরীরে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ব্যবহার: মূত্রপাথর এবং প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাদ্যের কারণে পাথর হলে এটি কার্যকর।
কেন্ট রেপার্টরিতে নির্মলিখিত রুব্রিক নামে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Kent [Kidney] calculi (see Urine, Sediment)--(0)
Kent [Urine] Sediment:
renal calculi : Bell., Benz-ac., berb., Calc., canth., coc-c., coloc., equis., hydrang., Lith., Lyc., mill., oci., Pareir., phos., Sars., sil. -(17)
নোট : মুএপাথরীর জন্য আরো অনেক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আছে।
মূত্রপাথরী রোগের সঙ্গে হোমিওপ্যাথির দার্শনিক ব্যাখ্যা:
1.সম্পূর্ণ সুস্থতার ধারণা: হোমিওপ্যাথি শুধুমাত্র লক্ষণ উপশম করার পক্ষে নয়, এটি শরীরের পুরোপুরি সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে চায়। মূত্রপাথরী হওয়ার কারণকে খুঁজে বের করে তা দূর করা হোমিওপ্যাথির মূল লক্ষ্য। এটি শুধুমাত্র পাথর নিরাময় নয়, রোগী যেন পুনরায় এই সমস্যা না পায় সেই দিকেও কাজ করে।
2. মিয়াজম অনুযায়ী চিকিৎসা: মূত্রপাথরীর ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি রোগীর আদি মিয়াজমের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেয়। Sycosis মিয়াজমকে লক্ষ্য করে চিকিৎসা করলে শরীরে পাথর গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং পুনরায় পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
3. জীবনীশক্তির পুনরুদ্ধার: হোমিওপ্যাথিক ঔষধ রোগীর দেহের জীবনীশক্তিকে পুনরায় সক্রিয় করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জীবনীশক্তি সঠিকভাবে কাজ করলে দেহ নিজেই পাথর গলিয়ে ফেলতে পারে বা বের করে দিতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের মতামত:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে কিডনি ও মূত্রপাথরীর ক্ষেত্রে শুধু শারীরিক লক্ষণ দেখে চিকিৎসা করলেই হবে না, রোগীর সামগ্রিক জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসা করতে হবে। নিচে কয়েকজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের মতামত তুলে ধরা হল:
1. ডা. হ্যানিম্যান:
হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথির প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে প্রতিটি রোগের পেছনে অন্তর্নিহিত কারণ থাকে এবং তা দেহের সামগ্রিক ভারসাম্য নষ্ট করে। মূত্রপাথরীর ক্ষেত্রে, পাথর গঠনের পেছনে থাকা কারণ যেমন খাদ্যাভ্যাস, মিয়াজম ইত্যাদিকে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।
2. ডা. কেন্ট:
কেন্ট বিশ্বাস করেন যে রোগীর মানসিক অবস্থা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূত্রপাথরীর ক্ষেত্রে রোগীর মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা ক্ষোভের ওপর ভিত্তি করে ঔষধ নির্বাচন করতে হবে।
3. ডা. ফারিংটন:
ফারিংটনের মতে, প্রতিটি রোগীর জন্য পৃথকভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রয়োগ করতে হবে। কিডনি পাথর নিরাময়ের জন্য শুধু লক্ষণ পর্যবেক্ষণই নয়, রোগীর মনের অবস্থা এবং সামগ্রিক জীবনযাপনের ওপরও নজর দিতে হবে।
4. ডা. বোরিক:
বোরিকের মতে, রোগীর নির্দিষ্ট লক্ষণগুলি অনুসারে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। মূত্রপাথরীর ক্ষেত্রে Berberis Vulgaris, Lycopodium, Sarsaparilla ইত্যাদি ঔষধ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ফলাফল ও প্রতিক্রিয়া:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় মূত্রপাথরীর লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে কমে আসে এবং রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে চিকিৎসা নির্ভর করে রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর। প্রতিটি ঔষধের প্রতিক্রিয়া রোগীভেদে ভিন্ন হতে পারে।
হোমিওপ্যাথি মূত্রপাথরীর পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সাহায্য করে এবং রোগীর শরীরে দীর্ঘস্থায়ী পাথর হওয়ার প্রবণতা কমায়।
রেনাল স্টোন বা মূত্র পাথরি কখন সার্জারিকেলে যেতে হবে বা সার্জারি করতে হবে :
রেনাল স্টোন বা মূত্র পাথরি কিডনির মধ্যে বা মূত্রনালীতে পাথর জমে তৈরি হয়, যা সাধারণত বিভিন্ন খনিজ ও লবণের জমাট বাঁধার কারণে হয়। মূত্র পাথরির সমস্যা সাধারণত ছোট আকারের হলে নিজে থেকেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তবে পাথরির আকার বড় বা অন্য কোন জটিলতা সৃষ্টি হলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। আবার, মূত্র পাথরির সমস্যায় কেবল তখনই সার্জারি করতে হবে, যখন অন্যান্য চিকিৎসা কার্যকর না হয় বা বড় ধরনের জটিলতা দেখা দেয়।
চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক কবে সার্জারি করা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।
১. পাথরির আকার বড় হলে:
সাধারণত ৫ মিলিমিটারের কম আকারের পাথরি নিজেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যেতে পারে। তবে ৫ মিলিমিটারের বেশি আকারের পাথর মূত্রনালীতে আটকে যায় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হতে পারে না। এ ধরনের পাথরি কিডনির মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হলে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে সার্জারি করা প্রয়োজন হতে পারে।
২. তীব্র ব্যথা হলে:
মূত্র পাথরির কারণে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে, যা পিঠ, পেট বা তলপেটে অনুভূত হয়। এই ব্যথা মাঝে মাঝে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে এবং ওষুধে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে পাথরি অপসারণের জন্য সার্জারি প্রয়োজন হয়।
৩. মূত্রনালীর প্রতিবন্ধকতা হলে:
বড় আকারের পাথরি মূত্রনালী আটকে দিতে পারে, যার ফলে মূত্রের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে প্রস্রাব আটকে থাকে এবং কিডনিতে চাপ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন এভাবে থাকলে কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মূত্রনালীর এই প্রতিবন্ধকতা সার্জারির মাধ্যমে নিরাময় করা প্রয়োজন।
৪. সংক্রমণ হলে:
যদি মূত্র পাথরির কারণে মূত্রনালীতে সংক্রমণ হয়, তবে জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবে পুঁজ বা রক্ত দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় সাধারণ ওষুধে সংক্রমণ নিরাময় না হলে এবং কিডনির সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে পাথরির সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।
৫. কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে:
বড় পাথরি দীর্ঘদিন কিডনির মধ্যে থাকলে কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত কিডনি সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে যেতে পারে। যদি কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, তবে পাথরিকে অপসারণ করে কিডনিকে রক্ষা করতে হবে।
৬. অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যর্থ হলে:
ছোট আকারের পাথরির জন্য প্রথমে ওষুধ ও লিথোট্রিপসি (Shock Wave Lithotripsy বা SWL) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেখানে শক ওয়েভের মাধ্যমে পাথরিকে ছোট ছোট টুকরা করা হয় যাতে তা সহজেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যদি এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো কার্যকর না হয় বা পাথরির আকার বড় থাকে, তখন সার্জারি করা একমাত্র উপায় হিসেবে থেকে যায়।
সার্জারির প্রকারভেদ
মূত্র পাথরির জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্জারি রয়েছে, যেমন:
ইউরেটেরোস্কোপি (Ureteroscopy): এই পদ্ধতিতে একটি ছোট ক্যামেরাযুক্ত যন্ত্র মূত্রনালীতে প্রবেশ করানো হয় এবং লেজারের মাধ্যমে পাথরিকে ভেঙে ফেলা হয়।
পারকিউটেনিয়াস নেফ্রোলিথোটোমি Percutaneous Nephrolithotomy:(PCNL):
বড় পাথরির জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। কিডনিতে একটি ছোট ছিদ্র তৈরি করে পাথরিকে ভেঙে বের করে আনা হয়।
ল্যাপারোস্কোপিক বা ওপেন সার্জারি: বড় ও জটিল পাথরির ক্ষেত্রে এই ধরনের সার্জারি করা হয়।
সার্জারির পরবর্তী যত্ন
সার্জারির পর নিয়মিত পানি পান করতে হবে, নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে এবং চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ সেবন করতে হবে। সার্জারির পর যেকোনো সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথা:
মূত্র পাথরির সমস্যায় কেবল তখনই সার্জারি করতে হবে, যখন অন্যান্য চিকিৎসা কার্যকর না হয় বা বড় ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। তাই প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
---কাজী সাইফ উদদীন আহমেদ,
Lecturer, Federal Homoeopathic Medical College, Dhaka.
আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
>Share by:
Make a comments as guest/by name or from your facebook:
Make a comment by facebook: