দাম্পত্য জীবনে কিছু মহিলা হঠাৎ করে সহবাসে অনাগ্রহ হয়ে পড়ে ঘৃণার জন্ম নেয় ও তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

দাম্পত্য জীবনে নানা চড়াই উতরাই পার হতে হতে কিছু মহিলার মনে  হঠাৎ করে সহবাসে অনাগ্রহ ও  ঘৃণার সৃষ্টি করে। মহিলাদের মধ্যে সহবাসকে ঘৃণার জিনিস মনে করা বা যৌন সম্পর্কের প্রতি অনাগ্রহ হোমিওপ্যাথিতে বিভিন্ন মানসিক, শারীরিক এবং আবেগগত অবস্থার সাথে সম্পর্কিত। 

মহিলাদের মধ্যে সহবাসের প্রতি ঘৃণা বা অনাগ্রহ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। তবে এই সমস্যার সমাধান নির্ভর করে সমস্যার মূল কারণ এবং রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর।

 হোমিওপ্যাথি রোগীর সম্পূর্ণ শারীরিক, মানসিক এবং আবেগগত অবস্থা বিশ্লেষণ করে সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করে।

নিচে এই সমস্যার সমাধানের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:

1. রোগীর ইতিহাস বিশ্লেষণ:
প্রথমে রোগীর সম্পূর্ণ শারীরিক এবং মানসিক ইতিহাস নেওয়া প্রয়োজন। রোগীর সম্পর্ক, আবেগ, মানসিক আঘাত, হরমোনজনিত সমস্যা, শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি সবকিছু বিশ্লেষণ করে রোগ নির্ণয় করতে হবে।

রোগী যদি সম্পর্ক বা মানসিক আঘাতজনিত কারণে এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে মানসিক স্থিতি পুনরুদ্ধারে চিকিৎসা দিতে হবে।


2. সঠিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নির্বাচন:
রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নির্ধারণ করতে হবে। 

3. দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা এবং পর্যবেক্ষণ:
হোমিওপ্যাথিক ওষুধের প্রভাব দেখার জন্য সময় প্রয়োজন। ওষুধ ব্যবহারের পর ধীরে ধীরে রোগীর মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।

রোগীর লক্ষণ এবং প্রগতি নিরীক্ষা করতে নিয়মিত ফলোআপ জরুরি। সমস্যার পরিবর্তন অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা বা ওষুধ পরিবর্তন করা হতে পারে।

4. আবেগগত সমর্থন এবং কাউন্সেলিং:
অনেক সময় মানসিক আঘাত, সম্পর্কের সমস্যা, বা আবেগগত অবদমনের কারণে সহবাসের প্রতি বিরূপতা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে একজন হোমিওপ্যাথিক পরামর্শদাতা বা কাউন্সেলরের সহায়তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হোমিওপ্যাথি ও কাউন্সেলিং একসঙ্গে কাজ করলে সমস্যার সমাধান দ্রুত হতে পারে।

5. শারীরিক সমস্যা সমাধান:
অনেক সময় হরমোনজনিত সমস্যা, মেনোপজ, মাসিকের অনিয়ম, বা যৌন সংক্রমণের কারণে মহিলাদের মধ্যে সহবাসের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়। এই ধরনের শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্যও সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

যেমন, 
Cimicifuga বা Thuja এর মতো হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হরমোনজনিত সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।

6. জীবনযাত্রার পরিবর্তন:
মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম অত্যন্ত জরুরি। ক্লান্তি এবং স্ট্রেস অনেক সময় যৌন আকাঙ্ক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাই জীবনযাত্রার পরিবর্তন এই সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে।

সহবাসের প্রতি ঘৃণা বা অনাগ্রহের সমাধানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকর, তবে এর জন্য রোগীর সম্পূর্ণ শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা বিবেচনা করা প্রয়োজন। সঠিক ওষুধ নির্বাচন, পর্যবেক্ষণ এবং জীবনের অন্যান্য দিকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।  

নিচে প্রতিটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের লক্ষণ এবং বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো:

1. Sepia:
প্রধান লক্ষণ: Sepia সাধারণত মহিলাদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির কারণে যৌন সম্পর্কের প্রতি বিরক্তি বা ঘৃণা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যারা গৃহকর্ম, মাতৃত্ব বা জীবনের দৈনন্দিন চাপের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

মানসিক অবস্থা: তারা এক ধরনের আবেগশূন্যতা অনুভব করেন, যা সহবাসসহ প্রতিটি ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে।

শারীরিক অবস্থা: তাদের মধ্যে প্রায়শই হরমোনজনিত সমস্যা, মাসিকের অনিয়ম বা মেনোপজ পরবর্তী সমস্যা থাকে। এই অবস্থাগুলির কারণে তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় এবং সহবাসের প্রতি ঘৃণা জন্মায়।

2. Natrum Muriaticum:
প্রধান লক্ষণ: এই ওষুধ তাদের জন্য প্রযোজ্য, যারা মানসিক আঘাত বা হতাশার কারণে যৌন সম্পর্ক থেকে দূরে থাকতে চান। সম্পর্কের মধ্যে আবেগগত ক্ষতি বা বিচ্ছেদের কারণে তারা শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় অনীহা বোধ করেন।

মানসিক অবস্থা: তারা সাধারণত অন্তর্মুখী এবং আবেগ প্রকাশে অস্বস্তি বোধ করেন। তারা নিজের আবেগকে গোপন রাখতে পছন্দ করেন, যা সহবাসের প্রতি বিরূপতা সৃষ্টি করতে পারে।

শারীরিক অবস্থা: এই ধরনের মহিলাদের মধ্যে মাথাব্যথা, শুষ্ক ত্বক এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।


3. Pulsatilla:
প্রধান লক্ষণ: Pulsatilla রোগীরা সাধারণত সংবেদনশীল এবং সহজে মনোবল হারিয়ে ফেলেন। তারা আবেগ এবং স্নেহের অভাব অনুভব করলে যৌন আকাঙ্ক্ষা হারাতে পারেন এবং সহবাসকে বিরক্তিকর বা ঘৃণিত মনে করতে পারেন।

মানসিক অবস্থা: এই ধরনের মহিলারা সাধারণত খুব আবেগপ্রবণ এবং অন্যান্যদের স্নেহ এবং মনোযোগের উপর নির্ভরশীল হন। যখন তারা তা পান না, তখন সহবাসের প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হয়।

শারীরিক অবস্থা: তারা সাধারণত ঠান্ডা পরিবেশে এবং ভেজা আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। হরমোনজনিত সমস্যার সাথেও এদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

4. Lachesis:
প্রধান লক্ষণ: Lachesis প্রধানত মহিলাদের জন্য ব্যবহৃত হয় যারা উচ্চ আবেগপ্রবণ এবং হিংস্র মানসিক অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত হন। তারা যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সমস্যায় ভুগতে পারেন এবং অনেক সময় সহবাসকে বিরক্তিকর মনে করেন।

মানসিক অবস্থা: Lachesis রোগীরা সাধারণত অত্যন্ত কথা বলার প্রবণ হন, এবং প্রায়ই ঈর্ষাপরায়ণ বা সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠেন। তারা অনেক সময় নিজেদের সংযত করতে অক্ষম হন এবং এর ফলে যৌন সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়।

শারীরিক অবস্থা: মেনোপজের সময়কালীন সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, এবং গলা ও ডান দিকের শারীরিক সমস্যার সাথে সম্পর্কিত।

5. Kreosotum:
প্রধান লক্ষণ: Kreosotum ওষুধটি তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা সহবাসের সময় শারীরিক ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন। এর ফলে তারা যৌন সম্পর্কের প্রতি বিরূপতা বোধ করতে পারেন এবং একে এক প্রকার শারীরিক যন্ত্রণা হিসাবে গণ্য করেন।

মানসিক অবস্থা: তারা সংবেদনশীল হন এবং প্রায়ই সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন।

শারীরিক অবস্থা: যোনিপথের সংক্রমণ, যোনিপথের আলসার বা দুর্বলতা দেখা যায়, যা শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।

6. Platina:
প্রধান লক্ষণ: Platina তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা অহংকারবোধ এবং মানসিক উচ্চাবস্থার কারণে সহবাসকে ঘৃণার জিনিস মনে করেন। তারা প্রায়ই নিজেদের উচ্চতর মনে করেন এবং যৌন সম্পর্ককে অবমাননাকর বা কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

মানসিক অবস্থা: Platina রোগীদের মধ্যে সাধারণত এক ধরনের অহংকার বা উঁচু মানসিক অবস্থা দেখা যায়, যা তাদেরকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে তোলে। এই মানসিক অবস্থা যৌন সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে।

শারীরিক অবস্থা: সাধারণত তারা অস্থিরতা, হতাশা এবং অপ্রত্যাশিত মেজাজ পরিবর্তনের শিকার হন। যৌন ইচ্ছার পরিবর্তনের সাথে সাথে শারীরিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

7. Staphysagria:
প্রধান লক্ষণ: Staphysagria তাদের জন্য উপযুক্ত যারা অবদমিত রাগ বা অপমানের কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষায় সমস্যা অনুভব করেন। তারা প্রায়শই যৌন সম্পর্ককে অপমানজনক বা বিরক্তিকর হিসেবে গণ্য করতে পারেন।

মানসিক অবস্থা: তারা সাধারণত সহজে রাগ দমন করেন, কিন্তু তা প্রকাশ করতে পারেন না। এই অবদমিত রাগ এবং অপমান তাদের যৌন ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখতে পারে।

শারীরিক অবস্থা: তারা প্রায়ই সংবেদনশীল, এবং সহজে আঘাতপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায়।


8. Sulphur:
প্রধান লক্ষণ: Sulphur রোগীরা সাধারণত তাদের নিজের চাহিদা বা আত্মকেন্দ্রিকতার কারণে সহবাসকে উপেক্ষা করতে পারেন। যৌন আকাঙ্ক্ষার অভাবের পাশাপাশি তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।

মানসিক অবস্থা: তারা প্রায়শই নিজেদের সেরা মনে করেন এবং অন্যান্যদের চাহিদার প্রতি উদাসীন হন। এই অবস্থার ফলে তারা যৌন সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারাতে পারেন।

শারীরিক অবস্থা: চুলকানি, জ্বালা, এবং চামড়ার রোগ তাদের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায়।


9. Conium Maculatum:
প্রধান লক্ষণ: Conium সাধারণত যৌন আকাঙ্ক্ষার দমন, যৌন সম্পর্কের প্রতি তীব্র অনাগ্রহ এবং সহবাসের প্রতি এক ধরনের ভীতি বা ঘৃণা সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত মেনোপজ পরবর্তী সময়ে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

মানসিক অবস্থা: রোগীরা সংবেদনশীল এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত অনুভব করেন। তারা প্রায়ই বিষণ্ণতা বা একাকীত্ব অনুভব করেন এবং সহবাসের প্রতি অনাগ্রহী হন।

শারীরিক অবস্থা: যৌন ইচ্ছা হ্রাস পায়, এবং প্রায়শই শারীরিক দুর্বলতা, মাথা ঘোরা বা সংবেদনশীলতা থাকে।


10. Ignatia Amara:
প্রধান লক্ষণ: Ignatia সাধারণত মানসিক আঘাত বা হতাশার কারণে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা মহিলাদের জন্য ব্যবহৃত হয়। তারা সহবাসকে দুঃখ বা মানসিক আঘাতের সঙ্গে যুক্ত করে এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলেন।

মানসিক অবস্থা: তারা প্রায়শই আবেগগত দ্বন্দ্ব এবং মানসিক চাপের শিকার হন। হতাশা এবং সংবেদনশীলতার কারণে তারা শারীরিক ঘনিষ্ঠতার প্রতি বিরূপতা অনুভব করতে পারেন।

শারীরিক অবস্থা: ঘন ঘন মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, এবং হঠাৎ মানসিক পরিবর্তন হতে পারে।


11. Cimicifuga Racemosa:
প্রধান লক্ষণ: মহিলাদের মধ্যে হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষার অভাব দেখা যায়। মেনোপজ, মাসিকের ব্যথা, এবং হরমোনের পরিবর্তনের ফলে সহবাসকে ঘৃণার জিনিস মনে করা হতে পারে।

মানসিক অবস্থা: রোগীরা সাধারণত খুবই আবেগপ্রবণ হন এবং সহজে মানসিক চাপ অনুভব করেন। তাদের মধ্যে বিষণ্ণতা এবং অতিরিক্ত উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।

শারীরিক অবস্থা: মাসিকের ব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, এবং হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায়।

12. Thuja Occidentalis:
প্রধান লক্ষণ: Thuja মহিলাদের মধ্যে যৌন সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যাদের পূর্বে কোনও যৌন অভিজ্ঞতা নেতিবাচক বা আঘাতমূলক ছিল, তারা সহবাসকে ঘৃণার জিনিস মনে করতে পারেন।

মানসিক অবস্থা: রোগীরা প্রায়শই আবেগগতভাবে ভেঙে পড়েন এবং নিজের প্রতি হীনমন্যতা অনুভব করেন। তারা নিজেদের শরীর বা যৌনতার প্রতি নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।

শারীরিক অবস্থা: যৌন রোগের ইতিহাস থাকতে পারে, এবং শারীরিকভাবে দুর্বল বা অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।

13. Phosphoric Acid:
প্রধান লক্ষণ: Phosphoric Acid সাধারণত মানসিকভাবে দুর্বল, হতাশা এবং দীর্ঘদিনের মানসিক ক্লান্তিতে ভোগা রোগীদের জন্য প্রযোজ্য। যৌন আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি হ্রাস পায়, এবং তারা সহবাসকে এক ধরনের দায়িত্ব মনে করেন।

মানসিক অবস্থা: তারা সাধারণত আত্মবিশ্বাসহীন এবং আবেগগতভাবে ভাঙা অবস্থায় থাকেন। তারা সহবাস থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন।

শারীরিক অবস্থা: শরীরে প্রচণ্ড দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা এবং ক্লান্তি দেখা যায়। দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি তাদের যৌন ইচ্ছা হ্রাস করে।

14. Aurum Metallicum:
প্রধান লক্ষণ: Aurum Metallicum রোগীরা প্রায়শই গভীর বিষণ্ণতা এবং অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় ভোগেন। তাদের যৌন ইচ্ছা সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যায়, এবং তারা সহবাসকে একেবারে তুচ্ছ বা ঘৃণিত মনে করেন।

মানসিক অবস্থা: বিষণ্ণতা এবং আত্মহত্যার প্রবণতা থাকতে পারে। রোগীরা নিজের প্রতি এবং অন্যদের প্রতি গভীর অনাগ্রহ অনুভব করেন।

শারীরিক অবস্থা: হরমোনজনিত সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অসুস্থতার কারণে যৌন ইচ্ছা হ্রাস পায়।


15. Graphites:
প্রধান লক্ষণ: Graphites সাধারণত মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং সংবেদনশীলতায় ভোগেন। তারা যৌন আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলেন এবং সহবাসকে অত্যন্ত অস্বস্তিকর মনে করেন।

মানসিক অবস্থা: আবেগগতভাবে খুবই দুর্বল হন এবং সহজেই হতাশ হয়ে পড়েন। তারা প্রায়শই নিজেদের প্রতি হীনমন্যতা বোধ করেন এবং যৌন সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেন।

শারীরিক অবস্থা: ত্বকের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত, বিশেষ করে একজিমা বা অন্যান্য চামড়ার সমস্যার কারণে শারীরিক অস্বস্তি তৈরি হয়।

উপসংহার:
মহিলাদের মধ্যে সহবাসের প্রতি ঘৃণার অনুভূতি বা অনাগ্রহ সঠিকভাবে বোঝার জন্য এবং সঠিকভাবে সমাধান করতে হলে রোগীর পূর্ণ মানসিক, শারীরিক, এবং আবেগগত অবস্থা বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। হোমিওপ্যাথি প্রতিটি রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণ এবং জীবনযাত্রার ওপর ভিত্তি করে ওষুধ নির্ধারণ করে। সঠিক ওষুধ নির্বাচনের জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথের সাথে পরামর্শ করা উচিত।


-- কাজী সাইফ উদদীন আহমেদ,
Lecturer, Federal Homoeopathic Medical College, Dhaka.


আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। 
>Share by:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন


Make a comments as guest/by name or from your facebook:


Make a comment by facebook:
নবীনতর পূর্বতন