গর্ভাবস্থায় বিপিডি কি? | BPD এর সমস্যা এবং এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা.

BPD (Biparietal Diameter) গর্ভাবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ আল্ট্রাসাউন্ড পরিমাপ যা ভ্রূণের মাথার এক পার্শ্ব থেকে অন্য পার্শ্ব পর্যন্ত দূরত্ব নির্দেশ করে। এটি গর্ভাবস্থার সময় ভ্রূণের বৃদ্ধির পর্যবেক্ষণ এবং গর্ভাবস্থার সময়কাল নির্ধারণে সহায়ক।

ভ্রূণের মাথার সর্বোচ্চ ব্যাসার্ধের অংশ বলতে মূলত মাথার বাইরের দুটি পার্শ্বীয় হাড়ের (Parietal Bones) মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব বোঝায়। একে Biparietal Diameter (BPD) বলা হয়, এবং এটি ভ্রূণের মাথার আকার ও বিকাশ নির্ধারণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

BPD সম্পর্কে বিস্তারিত:

1. BPD এর মানে:

এটি ভ্রূণের মাথার দুই পার্শ্বীয় হাড়ের (Parietal bones) মধ্যে সর্বাধিক দূরত্ব। সাধারণত আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে এটি পরিমাপ করা হয়।

BPD গর্ভাবস্থার প্রায় ১৩ থেকে ১৪ সপ্তাহ থেকে নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা যায় এবং এটি ২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভাবস্থার সময়কাল নির্ধারণের অন্যতম প্রধান সূচক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

2. BPD কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ভ্রূণের বৃদ্ধির পর্যবেক্ষণ: 
BPD-এর মাধ্যমে ভ্রূণের মাথার আকার এবং সঠিক বৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়।

গর্ভাবস্থার সময়কাল নির্ধারণ: 
এটি গর্ভাবস্থার সঠিক সময় নির্ধারণে সাহায্য করে, বিশেষত যদি গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে সঠিক তারিখ জানা না থাকে।

জন্ম প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি: 
ভ্রূণের মাথার আকার ও আকৃতি জন্ম প্রক্রিয়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি BPD অত্যধিক বড় হয়, তবে সিজারিয়ানের প্রয়োজন হতে পারে।



3. BPD এর স্বাভাবিক মান:

১৪ সপ্তাহ: প্রায় 2.4 সেন্টিমিটার।

২০ সপ্তাহ: প্রায় ৪.৮ সেন্টিমিটার।

৩০ সপ্তাহ: প্রায় ৮.২ সেন্টিমিটার।

৪০ সপ্তাহ: প্রায় ৯.৮ সেন্টিমিটার। মানের বিচ্যুতি থাকলে তা বিভিন্ন সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।

4. BPD কম বা বেশি হলে কী বোঝায়?

কম (Small BPD):

ভ্রূণের বৃদ্ধি কম হতে পারে (Intrauterine Growth Restriction বা IUGR)।

জেনেটিক সমস্যা বা ক্রোমোজোমাল ত্রুটি থাকতে পারে।

মাইক্রোসেফালি (Microcephaly) বা মাথার বিকাশজনিত ত্রুটি।


বেশি (Large BPD):

হাইড্রোসেফালাস (Hydrocephalus) বা মাথায় অতিরিক্ত তরল জমা।

জেনেটিক বা বিকাশজনিত সমস্যার কারণে মাথার আকার বড় হয়ে যাওয়া।


চিকিৎসা এবং পর্যবেক্ষণ:

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে BPD পরিমাপ করা হয়।

যদি BPD-এর মান স্বাভাবিক থেকে বেশি বা কম হয়, তবে পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষা (যেমন, ডপলার স্টাডি বা এমআরআই) করা যেতে পারে।

সঠিক মান নির্ধারণে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি বুঝতে একজন প্রসূতি বিশেষজ্ঞ বা ফেটাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।


উপসংহার:

BPD গর্ভাবস্থার গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ যা ভ্রূণের মাথার আকার এবং বৃদ্ধির অবস্থা নির্ধারণে সহায়ক। এটি ভ্রূণের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো সম্ভাব্য সমস্যা আগে থেকেই চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।


গর্ভাবস্থায় বিপিডি কম বা বেশি হলে তাহার করনিও কি এবং এর 
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। 


গর্ভাবস্থায় বিপারাইটাল ডায়ামিটার (BPD) কম বা বেশি হলে এটি ভ্রূণের শারীরিক বৃদ্ধি বা বিকাশে সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। এর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা নির্ভর করে সমস্যার মূল কারণ এবং ভ্রূণের বিকাশের অবস্থার ওপর। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সাধারণত রোগীর সামগ্রিক অবস্থা এবং নির্দিষ্ট লক্ষণগুলির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।

BPD কম বা বেশি হওয়ার কারণ:

BPD কম হলে (মাথার আকার ছোট):

1. মাইক্রোসেফালি (Microcephaly):

ভ্রূণের মাথার বিকাশ স্বাভাবিকের চেয়ে কম।

এটি জেনেটিক ত্রুটি, মায়ের সংক্রমণ (যেমন জিকা ভাইরাস), বা টক্সিনের সংস্পর্শের কারণে হতে পারে।

2. IUGR (Intrauterine Growth Restriction):

গর্ভের ভিতরে ভ্রূণের বৃদ্ধি সীমাবদ্ধ।

প্লাসেন্টার কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, মায়ের অপুষ্টি বা উচ্চ রক্তচাপ এর কারণ হতে পারে।

3. ক্রোমোজোমাল বা জেনেটিক সমস্যা:

যেমন, ডাউন সিনড্রোম বা ট্রাইসোমি ১৩।


BPD বেশি হলে (মাথার আকার বড়):

1. হাইড্রোসেফালাস (Hydrocephalus):

মস্তিষ্কে অতিরিক্ত তরল জমা হওয়ার ফলে মাথার আকার বড় হয়ে যায়।

2. মায়ের ডায়াবেটিস:

অস্বাভাবিক হারে ভ্রূণের বৃদ্ধি হতে পারে।

3. জেনেটিক বা জিনগত ত্রুটি:

যেমন, ম্যাক্রোসোমিয়া বা বড় আকারের শিশু।

4. টিউমার বা অস্বাভাবিক মস্তিষ্কের বৃদ্ধি।



BPD কম বা বেশি হলে করণীয়:

১. নিয়মিত পর্যবেক্ষণ:

নিয়মিত আল্ট্রাসাউন্ড এবং ডপলার স্টাডি করে ভ্রূণের মাথার আকার এবং প্লাসেন্টার কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

ভ্রূণের বৃদ্ধি ধীরগতি হলে প্রসূতি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ জরুরি।


২. জেনেটিক পরীক্ষা:

যদি BPD-এর মান স্বাভাবিকের থেকে খুব বেশি বা কম হয়, তবে জেনেটিক ত্রুটি চিহ্নিত করতে Amniocentesis বা Chorionic Villus Sampling (CVS) করা যেতে পারে।


৩. মায়ের স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ:

মায়ের পুষ্টি, ডায়াবেটিস, এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।

মায়ের সুষম খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।


৪. চিকিৎসা:

যদি হাইড্রোসেফালাস বা মাইক্রোসেফালির মতো বড় জটিলতা ধরা পড়ে, তবে সঠিক সময়ে শিশুর জন্মের জন্য চিকিৎসকরা সিজারিয়ান ডেলিভারি বিবেচনা করতে পারেন।

---

BPD সমস্যা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:

হোমিওপ্যাথি শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। চিকিৎসা নির্ধারণের জন্য মায়ের শারীরিক, মানসিক অবস্থা এবং ভ্রূণের লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করা হয়।

১. BPD কম হলে:

Calcarea Phosphorica:

মাথার বিকাশ স্বাভাবিক করার জন্য কার্যকর।

যখন শিশুর মাথার হাড় দুর্বল বা গঠনে ত্রুটি দেখা যায়।

Silicea:

মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক।

এটি হাড়ের সঠিক বৃদ্ধি এবং শক্তি পুনরুদ্ধারে কার্যকর।

Natrum Muriaticum:

প্লাসেন্টার কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

IUGR ক্ষেত্রে কার্যকর।

Baryta Carbonica:

মাইক্রোসেফালির মতো মাথার বৃদ্ধি বিলম্বিত হলে ব্যবহৃত হয়।


২. BPD বেশি হলে:

Calcarea Carbonica:

যখন শিশুর মাথার আকার অস্বাভাবিকভাবে বড় হয় এবং হাইড্রোসেফালাস সন্দেহ হয়।


Apis Mellifica:

মস্তিষ্কে তরল জমে গেলে (Hydrocephalus) ব্যবহৃত হয়।

মাথার চাপ বা অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।


Belladonna:

যখন মাথায় প্রদাহ বা অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালন হয়।

মায়ের রক্তচাপের কারণে সমস্যার ক্ষেত্রে কার্যকর।


Helleborus Niger:

হাইড্রোসেফালাস বা বড় মাথার আকারের ক্ষেত্রে উপকারী।

এটি মস্তিষ্কে জমে থাকা তরল শোষণে সাহায্য করে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার পরামর্শ:

1. চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ:

অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের অধীনে নির্দিষ্ট ঔষধ এবং ডোজ গ্রহণ করা উচিত।

2. মায়ের সামগ্রিক অবস্থা:

মায়ের মানসিক চাপ, পুষ্টি, এবং পূর্ববর্তী গর্ভধারণের ইতিহাস বিবেচনা করে চিকিৎসা নির্ধারণ করতে হবে।

3. পর্যবেক্ষণ:

BPD সমস্যা থাকা অবস্থায় মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর নিয়মিত নজর রাখা জরুরি।


উপসংহার:
গর্ভাবস্থায় BPD কম বা বেশি হলে এটি ভ্রূণের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, সঠিক চিকিৎসা, এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ভ্রূণের বিকাশে প্রাকৃতিক ও নিরাপদ সমাধান দিতে পারে, তবে এটি শুরু করার আগে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


গর্ভাবস্থায় মা এবং ভ্রূণের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকর এবং নিরাপদ একটি পদ্ধতি। এটি মায়ের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি ভ্রূণের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলি এবং সতর্কতা অনুসরণ করা প্রয়োজন।



গর্ভাবস্থায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সাধারণ নিয়মাবলি:

১. রোগীর ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ:

গর্ভবতী মায়ের শারীরিক, মানসিক, এবং পারিবারিক ইতিহাস বিবেচনা করতে হবে।

মায়ের প্রেগন্যান্সি-সংক্রান্ত উপসর্গ যেমন বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, মেজাজ পরিবর্তন, বা ব্যথার কারণ বিশ্লেষণ করা জরুরি।


২. রোগের গভীরতা ও ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা:

মায়ের সমস্যাগুলো তীব্র না হলে লক্ষণভিত্তিক ঔষধ প্রয়োগ করা যেতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বা পূর্ববর্তী রোগের ইতিহাস থাকলে কোষ্ঠগত চিকিৎসা (Constitutional Treatment) প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।


৩. সঠিক ঔষধ ও ডোজ:

হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি সাধারণত নিরাপদ হলেও ডোজ এবং শক্তি মায়ের অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে।

কম শক্তি (6C বা 30C) দিয়ে শুরু করা ভালো এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী উচ্চ শক্তি ব্যবহার করা যায়।


৪. মায়ের মানসিক অবস্থা:

গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক চাপ ভ্রূণের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা মায়ের মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কার্যকর।


৫. ভ্রূণের বিকাশ:

যদি ভ্রূণের বৃদ্ধি বা বিকাশে সমস্যা দেখা দেয় (যেমন IUGR, মাথার আকার বড় বা ছোট), তবে ভ্রূণের বিকাশ নিশ্চিত করতে মায়ের চিকিৎসার ওপর জোর দিতে হবে।


গর্ভাবস্থায় সাধারণ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:

১. বমি বমি ভাব বা বমি (Morning Sickness):

Nux Vomica:

অতিরিক্ত বমি ভাব বা বদহজম।


Ipecacuanha:

বমি হওয়ার পরেও বমি ভাব থেকে যায়।


Sepia:

গর্ভবতী মায়ের মেজাজ পরিবর্তন এবং বমির জন্য।



২. পেটের ব্যথা বা অস্বস্তি:

Colocynthis:

পেটের ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যা।


Magnesium Phosphoricum:

তীব্র ব্যথা বা পেট টান টান লাগলে।



৩. রক্তস্বল্পতা (Anemia):

Ferrum Metallicum:

হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য কার্যকর।


Calcarea Phosphorica:

রক্তস্বল্পতার পাশাপাশি হাড় দুর্বল থাকলে।



৪. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ:

Ignatia Amara:

মানসিক চাপ এবং দুঃশ্চিন্তার জন্য।


Kali Phosphoricum:

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং ঘুমের অভাবের জন্য।


৫. পায়ে ফোলা বা ক্র্যাম্প:

Ledum Palustre:

পায়ের ফোলা বা ব্যথার জন্য।

Cuprum Metallicum:

পায়ের টান ধরা বা ক্র্যাম্প।


ভ্রূণের বিকাশে সহায়ক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ:

১. ভ্রূণের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ:

Calcarea Phosphorica:

হাড় এবং মস্তিষ্কের বিকাশ নিশ্চিত করে।


Silicea:

ভ্রূণের শক্তিশালী হাড় এবং মস্তিষ্কের জন্য।



২. গর্ভকালীন বিকাশজনিত সমস্যা (IUGR):

Natrum Muriaticum:

প্লাসেন্টার কার্যক্ষমতা বাড়ায়।


Pulsatilla:

ভ্রূণের বিকাশে ধীরগতি হলে কার্যকর।



৩. মাথার আকার বড় বা ছোট হলে:

Calcarea Carbonica:

মাথার আকার বড় হলে।


Baryta Carbonica:

মাথার আকার ছোট হলে।

গর্ভাবস্থায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সতর্কতা:

1. নিজে থেকে ঔষধ গ্রহণ না করা:

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়।

2. ঔষধের সঠিক ডোজ ও শক্তি নিশ্চিত করা:

অতিরিক্ত বা ভুল ডোজ ভ্রূণ ও মায়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

3. জটিলতায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া:

যদি জটিল সমস্যা যেমন প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া, গর্ভধারণকালীন ডায়াবেটিস, বা হাইড্রোসেফালাস দেখা দেয়, তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

উপসংহার:

গর্ভাবস্থায় মা এবং ভ্রূণের সুরক্ষায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কার্যকর একটি পদ্ধতি। এটি মায়ের শরীর ও মানসিক অবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ভ্রূণের সঠিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে, প্রতিটি ক্ষেত্রে রোগীর ইতিহাস, লক্ষণ, এবং অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারণ করতে হবে। একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।




-- ডাঃ কাজী সাইফ উদ্দীন আহমেদ
বি এস সি(বায়োকেমিস্ট্রি), ঢা.বি, 
ডি এইচ এম এস (বোর্ড স্ট্যান্ড), ঢাকা    
প্রভাষক, 
ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ। 

আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।


>Share by:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন


Make a comments as guest/by name or from your facebook:


Make a comment by facebook:
নবীনতর পূর্বতন