অর্গানন অব মেডিসিন
§. ৯৫
চিররোগের লক্ষণ ও অন্যান্য বিষয়সমূহ লিপিবদ্ধ করিবার সময় অতিশয় যত্নসহকারে ও তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিতে হইবে। এই ক্ষেত্রে সামান্যতম বৈশিষ্ট্যগুলিও লক্ষ্য করিতে হইবে। কারণ সেইগুলি অচির রোগের ক্ষেত্রে প্রতিভাত না হইলেও এইসকল রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ চরিত্রগত লক্ষণ হিসাবে পরিগণিত হয়। তাই রোগ আরোগ্যের জন্য সেইগুলির আর প্রয়োজন নাই বলিয়া বাদ দেওয়া উচিত নয়। তাহার আরও কারণ হইতেছে যে, বহুকাল ধরিয়া রোগে ভুগিতে ভুগিতে রোগী এমন অভ্যস্ত হইয়া পড়েন যে ছোটখাট আনুসঙ্গিক লক্ষণগুলির কথা কদাচিৎ গ্রাহ্য করেন বা মোটেই ধর্তব্যের মধ্যে আনেন না। অথচ সেইগুলি নিতান্ত দরকারী, চরিত্রগত ও ঔষধ নির্বাচনের জন্য প্রায়ই অত্যন্ত আবশ্যকীয়। সেইগুলিকে রোগী তাঁহার অন্যান্য অবস্থার অঙ্গ হিসাবে, অনেকটা সুস্বাস্থ্যের মতোই মনে করেন। পনের-কুড়ি বছর ধরিয়া রোগে ভুগিতে ভুগিতে রোগী সেইগুলির অস্তিত্ব প্রায় বিস্মৃত হইয়া যান। এই সকল আনুসঙ্গিক লক্ষণের ও এই সকল কম-বেশি স্বাস্থ্যচ্যুতির সহিত মূল রোগের কোন একটা সম্বন্ধ আছে- এই কথা বিশ্বাস করা রোগীর পক্ষে কঠিন হইয়া পড়ে।
📘 অর্গানন অব মেডিসিন § ৯৫: প্রশ্নোত্তর
❖ প্রশ্ন ১: § ৯৫ অনুযায়ী রোগলিপি গ্রহণে চিকিৎসকের করণীয় কী?
উত্তর:
রোগলিপি গ্রহণের সময় চিকিৎসককে অতিশয় যত্নসহকারে এবং তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করতে হবে। রোগের সামান্যতম বৈশিষ্ট্যগুলিও লক্ষ্য করা উচিত, কারণ সেগুলি চিররোগে চরিত্রগত লক্ষণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
❖ প্রশ্ন ২: সামান্য লক্ষণগুলো চিররোগের ক্ষেত্রে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর:
যদিও সামান্য লক্ষণগুলো অচির রোগে খুব একটা দেখা যায় না, তবুও চিররোগের ক্ষেত্রে এইসব লক্ষণ চরিত্রগত হয়ে ওঠে এবং ঔষধ নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ায়।
❖ প্রশ্ন ৩: রোগী কেন এই সামান্য লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন?
উত্তর:
দীর্ঘকাল রোগে ভুগতে ভুগতে রোগী এসব আনুষঙ্গিক ও সামান্য লক্ষণগুলোর সাথে এতটা অভ্যস্ত হয়ে পড়েন যে সেগুলোকে তিনি আর অসুস্থতার অংশ মনে করেন না, বরং নিজের স্বাভাবিক অবস্থা বলে ধরে নেন।
❖ প্রশ্ন ৪: চিররোগের ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক লক্ষণগুলো কেন বাদ দেওয়া উচিত নয়?
উত্তর:
এই লক্ষণগুলো প্রায়শই চরিত্রগত, আরোগ্যের জন্য প্রয়োজনীয় এবং সঠিক ঔষধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশক। তাই এগুলিকে বাদ দিলে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ভুল হতে পারে।
❖ প্রশ্ন ৫: § ৯৫ অনুযায়ী রোগী তাঁর কোন লক্ষণগুলোর অস্তিত্ব বিস্মৃত হন এবং কেন?
উত্তর:
পনেরো-কুড়ি বছর ধরে ভুগতে ভুগতে রোগীরা ছোটখাট স্বাস্থ্যচ্যুতি বা আনুষঙ্গিক লক্ষণগুলোর অস্তিত্ব প্রায় ভুলে যান, কারণ এই অবস্থাগুলোর সঙ্গে এতটা খাপ খেয়ে ফেলেন যে সেগুলোকে আর অস্বাভাবিক মনে হয় না।
❖ প্রশ্ন ৬: চিররোগে মূল রোগ ও আনুষঙ্গিক লক্ষণগুলোর মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে?
উত্তর:
এই সকল আনুষঙ্গিক লক্ষণের সঙ্গে মূল রোগের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যদিও রোগীর পক্ষে এটা বোঝা কঠিন, তথাপি চিকিৎসকের জন্য এগুলো রোগের প্রকৃতি বুঝে ঔষধ নির্ধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্যই! নিচে § ৯৫ অনুযায়ী প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের সাথে বাস্তব জীবনের উপযোগী একটি করে উদাহরণ সংযুক্ত করা হলো, যাতে বিষয়টি আরও স্পষ্ট ও কার্যকরভাবে বোঝা যায়।
---
📘 § ৯৫: প্রশ্নোত্তর উদাহরণসহ
❖ প্রশ্ন ১: § ৯৫ অনুযায়ী রোগলিপি গ্রহণে চিকিৎসকের করণীয় কী?
উত্তর:
চিকিৎসককে অত্যন্ত যত্ন সহকারে ও তন্ন তন্ন করে রোগলিপি নিতে হবে। রোগের সামান্যতম বৈশিষ্ট্যও লক্ষ্য করতে হবে।
উদাহরণ:
রোগী বলল: “পেট ব্যথা হয় মাঝেমধ্যে, কিন্তু তেমন কিছু না।”
➡️ চিকিৎসক জানতে চাইলেন – ব্যথা কবে হয়? খাওয়ার আগে না পরে? বুকে ঢেউ ওঠে কি?
এই ছোট ছোট উত্তরগুলোই ওষুধ নির্বাচনে সহায়ক হয়।
❖ প্রশ্ন ২: সামান্য লক্ষণগুলো চিররোগের ক্ষেত্রে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর:
চিররোগে এই সামান্য লক্ষণগুলোই রোগের বিশেষত্ব বা চরিত্রগত রূপ প্রকাশ করে। এসব লক্ষণ ওষুধ নির্বাচনের মূল দিকনির্দেশনা দেয়।
উদাহরণ:
রোগী দীর্ঘদিন ধরে একজিমায় ভুগছে। সে বলে, “রাতে ঘুমাতে গেলেই চুলকায়।”
➡️ এই “রাতে বাড়ে” – ছোট একটি তথ্য হলেও Sulphur ও Psorinum এর মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে।
❖ প্রশ্ন ৩: রোগী কেন এই সামান্য লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন?
উত্তর:
দীর্ঘদিন ধরে একই উপসর্গে ভুগে ভুগে রোগী সেগুলোর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যায়। তখন সে মনে করে এগুলো তার দেহের স্বাভাবিক অংশ।
উদাহরণ:
রোগী বলেন: “শরীরটা তো সারাদিনই কেমন গরম লাগে, কিন্তু এটা আমার স্বভাব হয়ে গেছে।”
➡️ অথচ এটি Phosphorus বা Sulphur জাতীয় ওষুধ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
❖ প্রশ্ন ৪: চিররোগের ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক লক্ষণগুলো কেন বাদ দেওয়া উচিত নয়?
উত্তর:
এই আনুষঙ্গিক লক্ষণগুলো ওষুধ নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। এগুলো বাদ দিলে চিকিৎসা অসম্পূর্ণ হতে পারে।
উদাহরণ:
রোগী বলছে: “আমার বাতের ব্যথা আছে। তবে বৃষ্টির দিনে বেড়ে যায়।”
➡️ এই তথ্য বাদ দিলে Rhus tox, Dulcamara, Natrum sulph এর মতো সম্ভাব্য ওষুধ বাদ পড়ে যেতে পারে।
❖ প্রশ্ন ৫: § ৯৫ অনুযায়ী রোগী তাঁর কোন লক্ষণগুলোর অস্তিত্ব বিস্মৃত হন এবং কেন?
উত্তর:
রোগী দীর্ঘদিনের ভোগান্তির ফলে ছোটখাটো উপসর্গ ভুলে যান বা সেগুলোকে গুরুত্ব দেন না, কারণ সেগুলোর সঙ্গে তাঁর শরীর খাপ খাইয়ে নেয়।
উদাহরণ:
রোগী বলেন: “আমি তো ছোটবেলা থেকেই শুষ্ক ত্বক নিয়ে অভ্যস্ত। এটাকে আর অসুখ মনে করি না।”
➡️ অথচ “শুষ্ক ত্বক” হতে পারে Arsenicum album, Graphites, বা Sulphur জাতীয় ওষুধের পথপ্রদর্শক।
❖ প্রশ্ন ৬: চিররোগে মূল রোগ ও আনুষঙ্গিক লক্ষণগুলোর মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে?
উত্তর:
এই আনুষঙ্গিক লক্ষণগুলো মূল রোগের সাথেই সংশ্লিষ্ট এবং তা নির্ণয়ের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। রোগীর পক্ষে সম্পর্ক বোঝা কঠিন হলেও চিকিৎসকের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ:
রোগী বলেন: “আমার মাথাব্যথা অনেক পুরোনো, কিন্তু তার সাথে মাঝেমধ্যে হজমের সমস্যাও হয়।”
➡️ রোগী মনে করেন মাথাব্যথা আর হজম আলাদা বিষয়, কিন্তু চিকিৎসক জানেন এই দুটি উপসর্গ Nux vomica বা Lycopodium–এর মতো চিররোগের ওষুধ বেছে নিতে সাহায্য করে।
অবশ্যই, §৯৫–এর মূল বক্তব্য এবং তার প্রয়োগ উদাহরণসহ সহজভাবে নিচে ব্যাখ্যা করছি:
@@@@@#####
---
📘 § ৯৫ - উদাহরণসহ ব্যাখ্যা:
মূল বক্তব্য সংক্ষেপে:
চিররোগ (chronic disease) নির্ণয়ের সময় রোগের সামান্যতম লক্ষণ বা আনুষঙ্গিক উপসর্গ (accessory symptoms) যত ছোটই হোক, সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। কারণ, সেগুলোই রোগের চরিত্রগত লক্ষণ (characteristic symptom) হিসেবে ওষুধ নির্বাচনে সাহায্য করে।
🔍 উদাহরণ ১:
রোগী বলছেন:
> “আমার ১৫ বছর ধরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। প্রতিদিন সকালে পেট ফাঁপে, হালকা ব্যথা হয়। এইটা তো নরমাল হয়ে গেছে আমার জন্য, গুরুত্ব দিই না।”
➡️ বিশ্লেষণ:
রোগী এটিকে ‘নরমাল’ ভাবলেও – সকালে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, হালকা ব্যথা – এই লক্ষণগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর শরীরের অস্বাভাবিকতার অংশ এগুলোই।
➡️ কারণ:
যেহেতু রোগী দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় অভ্যস্ত, তাই সে বুঝতেও পারে না এগুলোর গুরুত্ব কতখানি। কিন্তু চিকিৎসকের জন্য এগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে পারে।
---
🔍 উদাহরণ ২:
রোগী বলছেন:
> “আমি প্রায় ২০ বছর ধরে মাথাব্যথায় ভুগছি। ব্যথার আগে চোখের সামনে অন্ধকার দেখি, তবে আমি গুরুত্ব দিই না – এটাও মাথাব্যথার অংশ মনে করি।”
➡️ বিশ্লেষণ:
এই "চোখের সামনে অন্ধকার দেখা" লক্ষণটি Aura before headache – যেটি অনেক নির্দিষ্ট হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নির্ধারণে সাহায্য করতে পারে।
যেমন – Cyclamen, Gelsemium, Iris versicolor – এসব ওষুধের মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য এই ধরনের উপসর্গ গুরুত্বপূর্ণ।
---
🔍 উদাহরণ ৩:
রোগী বলছেন:
> “মাথা ধরলেই ঠাণ্ডা বাতাসে বা রোদে গেলে বাড়ে। তবে এতদিন ধরে এটা হচ্ছে যে আমি এখন গুরুত্বই দিই না।”
➡️ বিশ্লেষণ:
"রোদে গেলে মাথাব্যথা বাড়ে" – এটি চরিত্রগত লক্ষণ হতে পারে, এবং Natrum mur, Glonoinum ইত্যাদি ওষুধ নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারে।
---
🧠 মূল শিক্ষা:
রোগী অনেক সময় নিজের উপসর্গ ভুলে যান বা গুরুত্ব দেন না।
কিন্তু চিকিৎসকের দায়িত্ব হল, তন্ন তন্ন করে প্রশ্ন করে এই গুলি বের করে আনা এবং সঠিক ওষুধ নির্বাচন করা।
কারণ – হোমিওপ্যাথিতে “the individualizing symptom”-ই ওষুধ নির্বাচনের মূল চাবিকাঠি।
---
✅ স্মরণযোগ্য পয়েন্ট:
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাখ্যা
আনুষঙ্গিক লক্ষণ রোগীর দৃষ্টিতে সাধারণ, কিন্তু চিকিৎসার দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ।
অভ্যস্ততা দীর্ঘদিন ধরে থাকায় রোগী নিজেই ভুলে যান বা বলেন "এইটা তো সবসময়ই হয়"।
ওষুধ নির্বাচন এসব ছোট লক্ষণ না জানলে ভুল ওষুধ হতে পারে।
চিকিৎসকের ভূমিকা রোগীর মুখে না আসা লক্ষণগুলো অনুসন্ধান করে বের করে আনা।
%%%%%%%%%%
নিচে §৯৫ এর প্রতিটি পয়েন্ট বা প্রশ্ন অনুযায়ী উদাহরণ ও তার সম্ভাব্য রুব্রিক ব্যাখ্যা করে দিচ্ছি।
📘 §৯৫: উদাহরণ + রুব্রিক ব্যাখ্যা
❖ প্রশ্ন ১: চিকিৎসকের করণীয় – রোগলিপি গ্রহণে ক্ষুদ্র লক্ষণকেও গুরুত্ব দেওয়া।
✅ উদাহরণ:
পেট ব্যথা খাওয়ার পর বাড়ে।
📚 রিপার্টরি রুব্রিক:
Abdomen – Pain – eating – after
Generals – Food and drinks – after eating – agg.
➡️ রোগী এটা "সাধারণ" মনে করলেও, এই রুব্রিক ওষুধ বাছাইয়ে সাহায্য করে যেমন: Nux vomica, Pulsatilla, Lycopodium
---
❖ প্রশ্ন ২: সামান্য লক্ষণও চিররোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
✅ উদাহরণ:
রাতে ঘুমালে চুলকানি বাড়ে।
📚 রিপার্টরি রুব্রিক:
Skin – Itching – night
Skin – Eruptions – night – agg.
➡️ এই রুব্রিকের মাধ্যমে ওষুধ: Sulphur, Psorinum, Arsenicum album
---
❖ প্রশ্ন ৩: রোগী নিজেই কিছু লক্ষণকে ভুলে যায় বা স্বাভাবিক মনে করে।
✅ উদাহরণ:
সারা দিন শরীর গরম গরম লাগে।
📚 রিপার্টরি রুব্রিক:
Generals – Heat – sensation of heat – in body
Skin – Heat – general
➡️ সম্ভাব্য ওষুধ: Phosphorus, Sulphur, Belladonna
---
❖ প্রশ্ন ৪: আনুষঙ্গিক লক্ষণ বাদ দেওয়া উচিত নয়।
✅ উদাহরণ:
বৃষ্টির দিনে ব্যথা বেড়ে যায়।
📚 রিপার্টরি রুব্রিক:
General – Weather – rainy weather – agg.
Extremities – Pain – weather – wet – agg.
➡️ ওষুধ: Rhus tox, Dulcamara, Natrum sulph
---
❖ প্রশ্ন ৫: দীর্ঘ অভ্যস্ততায় রোগী উপসর্গ ভুলে যায়।
✅ উদাহরণ:
শুষ্ক ত্বক, কিন্তু রোগী বলে “এটাই তো আমার স্বাভাবিক”।
📚 রিপার্টরি রুব্রিক:
Skin – Dryness – general
Skin – Roughness
➡️ ওষুধ: Arsenicum album, Graphites, Sulphur
---
❖ প্রশ্ন ৬: আনুষঙ্গিক লক্ষণের সাথে মূল রোগের সম্পর্ক আছে।
✅ উদাহরণ:
মাথাব্যথা ও হজমের সমস্যা একসাথে হয়।
📚 রিপার্টরি রুব্রিক:
Head – Pain – indigestion – during
Head – Pain – accompanied by – stomach symptoms
➡️ ওষুধ: Nux vomica, Lycopodium, China
---
🧠 সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
§৯৫ মূলত রোগীর “বেঠিক স্বাভাবিকতা” (abnormal normalcy) সনাক্ত করতে বলে, যেগুলো রোগীর নজরে পড়ে না।
এসব লক্ষণ Repertory বা Materia Medica–তে “চরিত্রগত লক্ষণ” হিসেবেই বিবেচিত হয়।
এই লক্ষণগুলোই Totality of symptoms–এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
✅ উপসংহার:
§৯৫ এর নির্দেশিকা + রিপার্টরি রুব্রিক = নিখুঁত হোমিওপ্যাথিক বিশ্লেষণ।
-- ডাঃ কাজী সাইফ উদ্দীন আহমেদ
বি এস সি(বায়োকেমিস্ট্রি), ঢা.বি,
ডি এইচ এম এস (বোর্ড স্ট্যান্ড), ঢাকা
প্রভাষক,
ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ।
আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
>Share by:
Make a comments as guest/by name or from your facebook:
Make a comment by facebook: