বাচ্চাদের প্রথম ছয় মাসের শারীরিক ও মানসিক গঠন প্রণালী

বাচ্চাদের প্রথম ছয় মাসের শারীরিক ও মানসিক গঠন প্রণালী আল কোরআন ও সুন্নাহ, বিজ্ঞানভিত্তিক অনুযায়ী  এবং চিকিৎসা প্রণালী :

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক গঠন প্রণালী আল কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সঠিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হওয়া উচিত। 

আল্লাহ তাআলা কোরআনে মানবজীবনের প্রতিটি ধাপের গঠন প্রণালী সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহতে শিশুদের লালন-পালনের সঠিক পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

প্রথম ছয় মাসের শারীরিক ও মানসিক গঠন সম্পর্কিত কিছু নির্দেশনা নিম্নরূপ:

১. শারীরিক গঠন:

মায়ের দুধ খাওয়ানো:

আল কোরআনের নির্দেশনা: কোরআনে বাচ্চাদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূরা আল-বাকারা (২:২৩৩)-তে বলা হয়েছে:
"মায়েরা তাদের সন্তানদের দুই বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্তন্যপান করাবে, যদি তারা সম্পূর্ণ স্তন্যপান করাতে চায়।"

প্রথম ছয় মাসে শিশুর জন্য মায়ের দুধ সবচেয়ে উপযুক্ত এবং সম্পূর্ণ পুষ্টির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে শিশুর শারীরিক গঠন, প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসিক বিকাশের জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে।



খৎনা (সুন্নত):

সুন্নাহ অনুযায়ী খৎনা: বালক শিশুদের ক্ষেত্রে খৎনা করা সুন্নাহ। যদিও এটি সাধারণত শিশুর জন্মের কিছু সময় পরে করা হয়, তবে এটি শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক এবং ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান হিসেবে বিবেচিত।


২. মানসিক গঠন:

আযান ও ইকামত:

সুন্নাহর নির্দেশনা: নবী (সা.) এর সুন্নাহ অনুযায়ী, শিশুর জন্মের পর ডান কানে আযান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া সুন্নাহ। এটি শিশুর মানসিক ও আত্মিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল, যা শিশুকে ইসলামের শিক্ষার সাথে পরিচিত করে তোলে।


দোয়া ও বারাকাহ:

নবী (সা.) ছোট শিশুদের জন্য বিশেষ দোয়া করতেন এবং তাদের জন্য কল্যাণ কামনা করতেন। যেমন, শিশুর সুরক্ষা ও শান্তির জন্য প্রতিদিন দোয়া করা উচিত। রাসূল (সা.) বলেছেন, "প্রত্যেক সন্তান ফিতরার উপর জন্মগ্রহণ করে" (সহীহ মুসলিম) অর্থাৎ প্রতিটি শিশু প্রকৃতির পথে জন্মায়, তাদের মানসিক গঠনের জন্য পরিবেশ ও লালন-পালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


৩. ভালো নাম রাখার গুরুত্ব:

শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা সুন্নাহ। হাদিসে বলা হয়েছে, নবী (সা.) নাম রাখার ব্যাপারে খুব গুরুত্ব দিতেন এবং তিনি নাম পরিবর্তন করতেন, যদি তা অর্থহীন বা খারাপ হতো। শিশুর সুন্দর নাম তার মানসিক বিকাশ ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।


৪. ভালো পরিবেশ ও নৈতিক শিক্ষা:

শিশুর মানসিক গঠনে পারিবারিক পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে শিশুকে ভালো আদব-কায়দা শেখানো, তার সাথে কোমল আচরণ করা এবং তাকে সঠিক পথে চালনা করা পিতা-মাতার প্রধান দায়িত্ব হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।


আল কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রতিটি ধাপ ইসলামিক মূল্যবোধ এবং দিকনির্দেশনার সাথে সমন্বিত হওয়া উচিত।




বাচ্চাদের প্রথম ছয় মাসের শারীরিক ও মানসিক গঠন প্রণালী স্বাভাবিক :


বাচ্চাদের প্রথম ছয় মাসের শারীরিক ও মানসিক গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি সঠিকভাবে পরিচালিত হলে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য এবং বুদ্ধিমত্তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই সময়ে শিশুর শারীরিক ও মানসিক গঠন প্রণালী স্বাভাবিকভাবে কেমন হওয়া উচিত তা নিম্নরূপ:

শারীরিক গঠন:

1. ওজন বৃদ্ধি: জন্মের সময় শিশুর ওজন সাধারণত ২.৫ থেকে ৪ কেজি হয়। ছয় মাসে শিশুর ওজন জন্মের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়।


2. মাথা এবং ঘাড়ের নিয়ন্ত্রণ: ৩ থেকে ৪ মাস বয়সে শিশুর মাথা এবং ঘাড়ের পেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে, ফলে তারা মাথা সোজা রাখতে পারে।


3. পাল্টে যাওয়া: প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস বয়সে বাচ্চারা একপাশ থেকে আরেকপাশে গড়াগড়ি দিতে শুরু করে।


4. হাত ও পায়ের নড়াচড়া: শিশুরা তাদের হাত ও পায়ের নড়াচড়া ভালোভাবে করতে শুরু করে এবং জিনিসপত্র ধরতে ও মুখের দিকে আনতে চেষ্টা করে।


5. দাঁতের গঠন: কিছু শিশুর প্রথম দাঁত প্রায় ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দেখা দেয়।


মানসিক ও সামাজিক বিকাশ:

1. সামাজিক সংযোগ: শিশুরা এই সময়ে পরিচিত মুখ দেখে হাসে এবং নতুন মানুষ দেখলে আগ্রহ প্রকাশ করে।


2. আওয়াজ এবং ভাষার বিকাশ: তারা বিভিন্ন আওয়াজ করতে শুরু করে, যেমন বুব বুব শব্দ। মা-বাবার আওয়াজ শুনে প্রতিক্রিয়া দেয়।


3. দৃষ্টি ও মনোযোগ: শিশুরা বিভিন্ন রঙ এবং চলমান বস্তুর প্রতি মনোযোগ দেয়। তারা নিকটবর্তী বস্তু বা খেলনার প্রতি আগ্রহী হয় এবং সেগুলো ধরতে চায়।


4. উৎসুকতা: শিশুরা চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে খুবই উৎসাহী হয় এবং বিভিন্ন বস্তুর সাথে খেলার মাধ্যমে শেখে।


বাচ্চাদের প্রথম ছয় মাসের শারীরিক ও মানসিক আক্রান্ত হওয়ার রোগসমূহের নাম


প্রথম ছয় মাসে শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাদ্য, যেমন মায়ের দুধ, পর্যাপ্ত ঘুম, এবং ভাল যত্ন তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে সঠিক পথে রাখতে সহায়ক।

বাচ্চাদের প্রথম ছয় মাসে তাদের শরীর এবং মানসিক গঠন খুবই সংবেদনশীল এবং এই সময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। 

নিচে শারীরিক ও মানসিক আক্রান্ত হওয়ার কিছু সাধারণ রোগের তালিকা দেওয়া হলো:

শারীরিক রোগসমূহ:

1. নিউমোনিয়া (Pneumonia):

ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, এবং উচ্চ তাপমাত্রা দেখা দেয়।


2. ডায়রিয়া (Diarrhea):

বাচ্চাদের পাকস্থলী সংবেদনশীল থাকে, তাই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডায়রিয়া হতে পারে, যা ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে।


3. কলিক (Colic):

এটি বাচ্চাদের অতিরিক্ত কান্না এবং পেটের ব্যথার কারণে ঘটে, যা সাধারণত খাবারের সমস্যা বা অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে হয়।


4. ইনফেকশন বা সংক্রমণ (Infections):

নবজাতকদের মধ্যে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), কান ইনফেকশন, এবং ত্বকের সংক্রমণ বেশি দেখা দেয়।


5. জন্ডিস (Jaundice):

জন্মের পরে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়।


6. শ্বাসকষ্ট (Respiratory Distress Syndrome):

প্রি-ম্যাচিউর বাচ্চাদের ফুসফুস পূর্ণভাবে বিকাশ না হওয়ার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।


7. রেফ্লাক্স (Gastroesophageal Reflux):

খাবার গ্রহণের পর খাবার পেট থেকে উপরে উঠে আসে, ফলে বাচ্চারা বমি করতে পারে বা অস্বস্তি অনুভব করতে পারে।


মানসিক/আচরণগত সমস্যাসমূহ:

1. অতিরিক্ত কান্না (Excessive Crying):

অনেক সময় অজানা কারণে বা অস্বস্তির কারণে বাচ্চারা অতিরিক্ত কান্না করতে পারে, যা মানসিক বা শারীরিক সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।


2. খাবার খেতে অস্বীকার করা (Feeding Difficulties):

কিছু বাচ্চা সঠিকভাবে খাবার নিতে পারে না বা মায়ের দুধ নিতে অস্বীকার করতে পারে, যা মানসিক চাপের লক্ষণ হতে পারে।


3. ঘুমের সমস্যা (Sleep Disturbances):

কিছু বাচ্চা ঘুমাতে কষ্ট পায় বা প্রায়ই ঘুম ভেঙে যায়, যা তাদের মানসিক অস্থিরতার লক্ষণ হতে পারে।


4. উত্তেজনা ও অস্থিরতা (Irritability and Restlessness):

বাচ্চারা মাঝে মাঝে অস্থিরতা এবং অস্বস্তিতে ভুগতে পারে, যা তাদের মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:

প্রথম ছয় মাসে বাচ্চাদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতে, যথাযথ যত্ন, সঠিক পুষ্টি, নিয়মিত খাবার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাচ্চাদের প্রথম ছয় মাসের শারীরিক ও মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার এবং হোমিওপ্যাথিক আয়ুর্বেদিক এলোপ্যাথিক চিকিৎসা বিস্তারিত আলোচনা :

বাচ্চাদের জীবনের প্রথম ছয় মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়কাল, কারণ এই সময়ে তাদের শরীর এবং মস্তিষ্ক দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (ইমিউন সিস্টেম) বিকাশ ঘটে।

 এই সময়ে বাচ্চাদের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

 এ সমস্যাগুলো হোমিওপ্যাথিক, আয়ুর্বেদিক এবং এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিভিন্নভাবে সমাধান করা হয়। 

নিচে প্রত্যেকটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. শারীরিক ও মানসিক রোগ

শারীরিক রোগ:

হজমের সমস্যা (যেমন গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া)

শ্বাসকষ্ট (যেমন ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া)

জ্বর এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ

চর্মরোগ (যেমন ডায়াপার র‍্যাশ)

জন্মগত সমস্যা (যেমন হৃদযন্ত্র বা লিভার সমস্যা)


মানসিক রোগ:

ভীতি বা উদ্বেগ

স্নায়বিক অস্থিরতা

ঘুমের সমস্যা

বিকাশজনিত সমস্যা (যেমন সঠিকভাবে কথা বলা বা হাঁটা শেখার বিলম্ব)



২. হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:

চিকিৎসা নীতি: 
হোমিওপ্যাথি একটি ব্যক্তিগতকৃত (individualized) পদ্ধতি, যেখানে রোগীর শারীরিক ও মানসিক লক্ষণগুলো বিবেচনা করে চিকিৎসা করা হয়। এটি দেহের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে।

লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা:
শিশুদের রোগ নির্ণয়ের পর Aconite, Chamomilla, Pulsatilla, এবং Silicea-এর মতো ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

নিরাপত্তা
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সাধারণত নিরাপদ এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে এটি প্রায়ই ব্যবহৃত হয়।

সময়: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ফলাফল আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, কারণ এটি ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।


৩. আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা:

চিকিৎসা নীতি: 
আয়ুর্বেদ দেহের "দোষ" (বায়ু, পিত্ত, কফ) ভারসাম্যের উপর ভিত্তি করে রোগের চিকিৎসা করে। শিশুদের ক্ষেত্রে পিত্ত এবং কফের সমস্যায় বেশি ফোকাস দেওয়া হয়।

প্রাকৃতিক উপাদান: 
হরীতকী, আমলকী, ব্রাহ্মি, এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ ওষুধ ব্যবহার করে বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করা হয়, যার ফলে তারা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হয়।

নিরাপত্তা
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রাকৃতিক ওষুধের মাধ্যমে দেওয়া হয়, যা সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত, তবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ওষুধের ডোজ নিশ্চিত করতে হয়।

সময়
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ধীর প্রক্রিয়ায় কাজ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদে শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে সহায়ক।


৪. এলোপ্যাথিক চিকিৎসা:

চিকিৎসা নীতি: 
এলোপ্যাথিক চিকিৎসা প্যাথোলজি নির্ভর পদ্ধতি, যা সরাসরি প্যাথোলজি দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এলোপ্যাথিক ওষুধ দ্রুত কাজ করে এবং রোগ নিরাময়ে তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রদান করে এবং দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। 

অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ:
শিশুদের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও, ব্যথা বা জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল এবং অ্যান্টি-হিস্টামিন ব্যবহার করা হয়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
 এলোপ্যাথিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে , যেমন অ্যান্টিবায়োটিকের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে চুলকানি, বমিবমি ভাব, পরিশোষেনের অভাব, হজমের সমস্যা বা ইমিউন সিস্টেমের ওপর প্রভাব পড়ে।

তুলনামূলক আলোচনা:


এলোপ্যাথিক চিকিৎসা দ্রুত উপশম দেয় বা দেয় না বিশেষ করে সংক্রমণ বা জ্বরের ক্ষেত্রে। হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ধীরে কাজ করে, কিন্তু তারা দেহের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

নিরাপত্তা
হোমিওপ্যাথিক এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। তবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বা সৃষ্টি করে। 

ব্যবহারিকতা
হোমিওপ্যাথিক এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে অসুখ কম দেখা দেয়, 
কিন্তু তাৎক্ষণিক রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা বেশি উপশমদায়ক হলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।


উপসংহার:

বাচ্চাদের প্রথম ছয় মাসের রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে রোগের প্রকৃতি, তীব্রতা, এবং সময়কে বিবেচনায় রাখতে হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা বেছে নেওয়ার সময় রোগের ধরণ এবং শিশুর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করা জরুরি।

 হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা তুলনামূলকভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতি।  এখানে রোগের উপশম হয় না সত্যি কারের রোগ আরোগ্য হয়। 
 এলোপ্যাথিক চিকিৎসা দ্রুত উপশম দিতে পারে, আরোগ্য দিতে পারে না। 




-- ডাঃ কাজী সাইফ উদ্দীন আহমেদ
বি এস সি(বায়োকেমিস্ট্রি), ঢা.বি, 
ডি এইচ এম এস (বোর্ড স্ট্যান্ড), ঢাকা    
প্রভাষক, 
ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ। 


আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
>Share by:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন


Make a comments as guest/by name or from your facebook:


Make a comment by facebook:
নবীনতর পূর্বতন