৫০ সহস্রতমিক শক্তির ঔষধের অভাবে আমি অর্গ্যাননের ২৪৮ এফোরিজমে বর্ণিতরূপে ৫০ সহস্রতমিক ঔষধের অভাবে,
শততমিক শক্তির সূক্ষ্মতম মাত্রা পানিতে দিয়া ১০টি ঝাকি দিয়ে ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতিতে দুর্বল ও অসহিষ্ণু রোগীকে সেবন করাইয়া বিশেষ সুফল পাইয়াছি।
আমাকে অনুসরণ করিয়া যেই সকল হোমিওপ্যাথ শততমিক ঔষধকে সূক্ষ্মতম মাত্রায় পানিতে দিয়া প্রয়োগ করিয়াছেন তাঁহারাও সুফল পাইয়াছেন এবং দেখা গিয়াছে এইরূপে সূক্ষ্মতম শততমিক ঔষধ, দুর্বল, অসহিষ্ণু ও সকল রোগীদের মধ্যে সমভাবে কাজ করে।
কিছুদিন হল এই প্রথায় আমি শততমিক ঔষধ প্রয়োগে ঢাকা ৬নং চামিলিবাগ নিবাসী এসিস্টেন্ট কন্ট্রোলার ডিফেন্স ফাইনেন্স ফরিদ আহম্মদ সাহেবের শাশুরীকে আরোগ্য করিয়াছি।
এলোপ্যাথি হৃদরোগ চিকিৎসা বিশারদগণ বলিয়াছিলেন যেই নালীপথে হৃদপিণ্ড হইতে দেহে রক্ত প্রবাহিত হয় রোগীর সেই নালী পথটি সংকীর্ণ হইয়া গিয়াছে, সুতরাং হৃদপিণ্ড অপারেশন করিয়া উক্তপথে; Pace maker সংযোজন না করিলে রোগিনী অল্পদিনের মধ্যে এবং একটু নড়া-চড়া করিলে যেই কোন মুহূর্তে মৃত্যু বরণ করিতে পারে।
যেই রোগিনী শোওয়ায় খাওয়া ও পায়খানা, প্রস্রাব করিত সেই রোগীনী আমার চিকিৎসার পর আল্লাহর রহমতে তিন তলার উপর উঠিয়া আমার নিকট হইতে বিদায় নিয়া দেশে চলিয়া যায়।
চিকিৎসা বিবরনী আমার অভিজ্ঞতা পুস্তকের ২য় সংস্করণে দেওয়া হইয়াছে। সে আজ ১ বৎসর যাবৎ সুস্থ আছে।
১ ফোটা শততমিক ঔষধ ১ ড্রাম সুগারে দিয়া, সুগার শুকাইয়া গেলে উহা হইতে একটি সাগু দানা পরিমাণ দানা নিয়া আট আউন্স পানিতে দিয়া ১০টি ঝাঁকি দিয়া রোগীর ঔষধ সহিবার শক্তি বিবেচনা করিয়া কোন রোগীকে চা চামচের ১ চামচ করিয়া আট দিনের জন্য মোট ৮ চামচ প্রদান করি আর প্রতি মাত্রায় ২ চামচ করিয়া কোন রোগীকে মোট ষোল চামচ প্রদান করিয়া প্রতিবার সেবনের পূর্বে ১০টি ঝাঁকি দিয়া নিতে বলি। তারপর উক্ত শক্তির ঔষধ উক্তরূপে ৮ আউন্স পানিতে দিয়া ঝাঁকিয়া নিয়া উহা হইতে চা চামচের দুই চামচ ৮ আউন্স পানিতে দিয়া ১০টি ঝাঁকি দিয়া উক্তরূপে দ্বিতীয় বার সেবন করিতে প্রদান করি।
যদি রোগ বৃদ্ধি পায় ২/৪ দিন ঔষধ বন্ধ রাখিয়া পুনঃ সেবন করিতে বলি।
প্রথমবার প্রদত্ত ঔষধকে ১ম ক্রম বলি তারপর ২য় ক্রম বলি। ঔষধ যদি ৬ শক্তি হইতে প্রস্তুত হয় তাহা হইলে প্রথমবার পানিতে দেওয়ার পর ৬ শক্তির ১ ক্রম বলি, ৩০ শক্তির ঔষধ হইলে ৩০ শক্তির ১ ক্রম বলি, সংক্ষেপে ৬ এর ১, ২, বা ৩০ এর অর্থাৎ যে কোন শক্তির ১. ২, বলি।
-- ডাঃ কাজী সাইফ উদ্দীন আহমেদ
বি এস সি(বায়োকেমিস্ট্রি), ঢা.বি,
ডি এইচ এম এস (বোর্ড স্ট্যান্ড), ঢাকা
প্রভাষক,
ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ।
আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
>Share by:
Make a comments as guest/by name or from your facebook:
Make a comment by facebook: