বায়োলজিক্যাল clock অনুযায়ী মানুষ কখন পায়খানা করবে ?

বায়োলজিক্যাল ক্লক বা শরীরের ঘড়ি আমাদের দেহের বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে পায়খানা করার সময়ও অন্তর্ভুক্ত। 

এই ঘড়ির কারণে আমাদের শরীর নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ কার্যকলাপ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।

 পায়খানা করার জন্য বিশেষ সময়সীমা কিছু ক্ষেত্রে নিম্নরূপ হতে পারে:

১. সকালের সময়:

মানুষের শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ি সাধারণত সকাল ৬টা থেকে ১০টার মধ্যে পায়খানা করার জন্য প্রস্তুত থাকে। এই সময় অন্ত্রের কার্যকলাপ বাড়ে, যা সাধারণত রাতে খাবার হজমের ফল।


২. গ্যাস্ট্রোকলিক রিফ্লেক্স:

খাওয়ার পর অন্ত্রের সিগন্যালের মাধ্যমে পায়খানা করার প্রবণতা বাড়ে। সকালে সকালের নাস্তার পরে এই রিফ্লেক্স কাজ করে, যা শরীরকে পায়খানা করতে উত্সাহিত করে।




৩. দৈনিক রুটিন:

যারা নিয়মিত সময়ে খাওয়া-দাওয়া করেন, তাদের পায়খানা করার সময়ও নিয়মিত হয়। যদি একজন মানুষ প্রতিদিন সকালে একই সময়ে খাওয়া করেন, তবে পায়খানা করার সময়ও সেই সময়ের আশেপাশে হবে।


৪. দেহের অভ্যাস:

একটি নির্দিষ্ট সময়ে পায়খানা করার অভ্যাস গড়ে ওঠার ফলে শরীর সেই সময়ে স্বাভাবিকভাবে পায়খানা করার জন্য প্রস্তুত হয়।


৫. স্ট্রেস এবং জীবনযাত্রার প্রভাব:

মানসিক চাপ বা জীবনযাত্রার পরিবর্তনও বায়োলজিক্যাল ক্লককে প্রভাবিত করতে পারে। এই কারণে পায়খানা করার সময় পরিবর্তিত হতে পারে।


৬. হরমোনাল পরিবর্তন:

শরীরের ঘড়ি অনুযায়ী হরমোনের স্তর পরিবর্তন হয়, যা অন্ত্রের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে।


সার্বিকভাবে, বায়োলজিক্যাল ক্লক মানুষের পায়খানা করার সময়কে প্রভাবিত করে এবং সাধারণত সকালে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়।

 নিয়মিত সময়ে খাওয়া এবং শারীরিক কার্যকলাপ স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের কার্যক্রম বজায় রাখতে সহায়ক।



-- ডাঃ কাজী সাইফ উদ্দীন আহমেদ
বি এস সি(বায়োকেমিস্ট্রি), ঢা.বি, 
ডি এইচ এম এস (বোর্ড স্ট্যান্ড), ঢাকা    
প্রভাষক, 
ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ। 


আমাদের লেখার কোন অংশ রেফারেন্স ছাড়া কপি বা শেয়ার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
>Share by:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন


Make a comments as guest/by name or from your facebook:


Make a comment by facebook:
নবীনতর পূর্বতন