হোমিওপ্যাথিতে গর্ভকালীন সময় মায়ের এবং বাচ্চার গর্ভকালীন ইতিহাস কেন প্রয়োজন। এই নয় মাসের গর্ভকালীন ইতিহাস মায়ের চিকিৎসার সময়ও প্রয়োজন, বাচ্চার চিকিৎসার সময়ও প্রয়োজন হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে। গর্ভকালীন সময় মায়ের ও বাচ্চার মানসিক ও শারীরিক ইনজুরিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অন্যান্য প্যাথির তুলনায় শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা।
সেটি নিচের গল্পের মাধ্যমে বুঝার চেষ্টা করি,
সেটি নিচের গল্পের মাধ্যমে বুঝার চেষ্টা করি,
রাগের মাথায় মিমের পেটে লাথি মারলাম কিছুদিন আগে। ভেবেছিলাম মেয়েটা সরে যাবে কিন্তু সে সরে নি তাই লাথি টা তার পেটেই লেগেছিল। মেয়েটা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল চোখ দুটো থেকে পানি পরছে কিন্তু আমার ভয়ে কিছু বলার সাহস পেল না। আমি ভয় পেয়ে গেলাম আমার বাচ্চার যদি কোনো ক্ষতি হয়। মিম চুপ করে দেয়ালে ধরে ধরে হেটে রুমে যেতে যেতে কান্নাভেজা কন্ঠে বলল তুমি আমার পেটে লাথি দিলে এর জন্য একদিন তুমাকে পস্তাতে হবে। আমি শুধু ভাবতাম মেয়েটা এমন কেন অন্য মেয়েদের মতো কান্নাকাটি রাগারাগি চেঁচামেচি করে না একদিন খাবার খাওয়ার সময় তাকে থাপ্পড় মেরেছিলাম মিম আমার দিকে তাকিয়ে কান্না করতে করতে রুমে গিয়ে সুয়ে পড়েছিল। কিছুক্ষন পর আমি বললাম রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি তাই মেরেছি এর জন্য না খেয়ে থাকতে হবে? মেয়েটা ভয়ে ভয়ে বলল বাবার বাড়ির সবকিছু ছেড়ে তুমার কাছে এসেছি আর সেই তুমি কিনা কথায় কথায় আমার গায়ে হাত তোল। দেখবা একদিন খুব আফসোস করবা বলে ঘুমিয়ে গেল। স্পষ্ট দেখতে পেলাম চোখ দুটো থেকে পানি পরছে।
দেখতে দেখতে মিমের ডেলিভারির সময় চলে এসেছে একদিন রাতে মিম আমাকে বলল আমাকে একটু জড়িয়ে ধরবা খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি কিছুটা বিরক্ত হয়েই বুকে নিলাম। ও বলল শুন ডেলিভারির পর যদি আমার কিছু হয়ে যায় তাহলে আমার বাচ্চাটাকে তুমি দেখে রেখ। আমার মনের মধ্যে কেমন যেন ব্যাথা করে উঠল তার কথাটা শুনে কিন্তু বললাম ঠিক আছে দেখে রাখব। মিমের ডেলিভারি হলো ডাক্তার বলল আপনার ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে কিন্তু খুবই অসুস্থ মনে হচ্ছে বড় ধরনের আঘাত পেয়েছে পেটে থাকা অবস্থায়। আমি গিয়ে মেয়েকে কোলে নিলাম একদম মিমের মতো দেখতে হয়েছে। হঠাৎ করেই মনে হলো মিমের কথা আমি ছুটে গেলাম তার কাছে দেখলাম মিম খুব অসুস্থ আমার হাত টা ধরে বলল মেয়েদের প্রেগন্যান্সির সময় দেওয়া কষ্ট মেয়েরা কখনোই ভুলে না। আমাকে শেষবারের মতো একটা বার জড়িয়ে ধরবে? আমি পাগলের মতো জড়িয়ে ধরলাম তাকে কিন্তু তার দেহ টা ততক্ষণে স্থির হয়ে গেছে। ডাক্তার বলল প্রেগন্যান্সির সময় ওনার পেটে গুরুতর আঘাত লাগায় এতদিন ধরে উনি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেছেন। আমরা শুধু ভাবছি এত বড় ব্যাথা উনি কিভাবে এতদিন সহ্য করেছেন।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। আমার মিম কোথায়? আমার ভালোবাসা কোথায়? আমার কানে শুধু বাজতে লাগল তুমি আমাকে লাথি দিতে পারলে দেখবে একদিন খুব পস্তাবে। তবে কি এই কষ্টের কথাই বলেছিল মিম। এখন আমার মেয়ে আমাকে বলে আমার মায়ের মৃত্যুর জন্য তুমি দায়ী। তাই তো বড় বড় কবি গুরুজনেরা বলেছেন 👉👉রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। 👈👈
সুতরাং মায়েদের গর্ভকালীন সময় মায়েরা যাতে শারীরিক, মানসিক এবং ইমোশনাল কষ্ট যাতে না পায় আমাদের সকলেই যত্নশীল হতে হবে গর্ভবতী মায়ের প্রতি।
-- কাজী সাইফ উদদীন আহমেদ।
>Share by:
Make a comments as guest/by name or from your facebook:
Make a comment by facebook: