বয়স ২৩ বৎসর,
বিবাহিতা,
৩ বৎসর হলো তার স্তনে গ্রন্থিফোলা দেখা দিয়েছে।প্রথমে ডান স্তন আক্রান্ত হয়, পরে বাম স্তনে সম্প্রসারিত হয়।বর্তমানে ডান স্তনে বেশী।আক্রান্ত স্থানে কাঁটা ফোঁটার মত ব্যথা,।ব্যথা মাসিকের পূর্বে এবং ঠাণ্ডায় বৃদ্ধি পায়। আক্রান্ত স্থানদ্বয় স্পর্শকাতর।কোনরূপ নড়াচড়া করা যায় না।বিশ্রামে ও তাপে উপশম।
৩ বৎসর পূর্বে রোগিণী সন্তান প্রসব করে কিন্তু ঐ সন্তানের স্তন্যপানে অনীহা ছিল, তাই স্তন্য পান না করে কৃত্রিম খাদ্য খাবার খেয়ে বড় হয়।
আর স্তন্য পান না করার ফলে ওর স্তনপ্রদাহ দেখা দেয় । এবং
স্তনের মধ্যে শক্ত ছোট ছোট গুটলি দেখা দেয়।
অতীতে হাম, বসন্ত ও চুলকানি হয়েছিল।
বংশে মা সুস্থ।বাবা কিডনী নষ্ট হয়ে মারা গেছে।
এক ভাই, দুই বোন।ছোটবেলায় দুই ভাই বোন মারা গেছে। রোগিণীর এক মেয়ে।
প্রতিদিন গোসল করে, বাদ দিলে খারাপ লাগে।রোদ ও গরম সহ্য হয় না।বাসে চড়লে মাথা ঘোরে এবং বমি হয়।হাত-পায়ের তালু জ্বালা করে।মাঝারী বালিশে ডান কাতে শু'য়ে থাকে।
খাবার :
হালকা গরম ভালবাসে।
পছন্দ : ডিম, মাছ, মাংস, ঝাল, টক ও মিষ্টি ভালবাসে।অপছন্দ : লবণ, দুধ ও রুটি অপছন্দ।ক্ষুধা : ক্ষুধা বেশী সহ্য হয় না।পিপাসা : বেশী।
প্রস্রাব : দৈনিক ৪/৫ বার হয়। পরিষ্কার হয়।পায়খানা : পরিষ্কার হয়। পায়খানা দৈনিক ১ বার হয়। পূর্বে শক্ত ছিল।যার জন্য মলদ্বার চিরে রক্ত পড়েছে।
মাসিক : মাসিক নিয়মিত হয়, ৪ দিন স্থায়ী।রঙ কালচে।দাগ সহজে ওঠে না।ঘুম : ভাল হয়।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :চঞ্চল প্রকৃতির,রাগ বেশী।সহজে কমে।লোকজন, গান-বাজনা পছন্দ।কাজকর্ম দ্রুততার সঙ্গে করে।সঞ্চয়ী মন।
যদিও রোগিণীর মধ্যে ধাতুগত লাইকোর ছবি বিদ্যমান তথাপি স্রাব অবরুদ্ধহেতু রোগ৷ তাই লাইকোকে হাতে রেখে.........কারণের উপর ভিত গেড়ে,
১৮-১২-৯৪ তারিখে,জিঙ্কাম মেট ১ এম. ২ দাগ পরিবর্তনশীল প্রথায় ২' দিন সকালে সেবন করতে বলে একমাস পর সংবাদ দিতে বলি।১৮-২-৯৫ তারিখে, দুই মাস পর...সংবাদ পাই রোগিণী আরোগ্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তবে ৪/৫ দিন হলো আবার খারাপ লাগছে।তাই ঐ তারিখে জিঙ্কাম- মেট ১ এম. এর ১টি বড়ি পানির সংগে ড্রামে দিয়ে ১০ বার ঝাঁকি দিয়ে সকালে একবারে সবটুকু সেবন করতে বলি এবং এক মাস পর সংবাদ দেয়ার কথা বলে বিদায় দেই।তারিখ ৩১-৭-৯৫ :
তারিখ : ৪-৯-৯৫কিন্তু রোগিণী এক মাস পর না এসে ৩১-৭-৯৫ তারিখে আমার কাছে আসে। আমি এত দেরী করার কারণ জিজ্ঞাসা করায় রোগিণী বললো-ডাক্তার সাহেব, আপনার ঔষধ খেয়ে আমি দীর্ঘ কয়েক মাস ভাল ছিলাম কিন্তু ক'দিন হলো আবার খারাপ লাগছে।যাহোক আমি ঐ তারিখে জিঙ্কাম-মেট ১০ এম, উপরোল্লিখিত প্রথায় সেবন করতে বলে আবার দেড় মাস পর সংবাদ দিতে বলি।
৪-৯-৯৫ তারিখে সংবাদ পাই, রোগিণী ভাল। অর্থাৎ গ্রন্থিফোলা বেশ কমে এসেছে এবং নরম হয়ে গেছে তবে মাঝে মাঝে সামান্য ব্যথানুভব হয়।
তাই ঐ তারিখে জিঙ্কাম-মেট
এরপর ঐ রোগিণীর জন্য আর কোন ঔষধের প্রয়োজন হয়নি।৫০-এম, উপরোল্লিখিত প্রথায় সেবন করতে বলে রোগিণীকে বিদায় দেই।
William BOERICKE, M.D. বলেন...কোনও অবরুদ্ধ পীড়কা হেতু যে কোনও মন্দ লক্ষণে 'ইহা অমৃততুল্য ঔষধ। তড়কা, মস্তিষ্ক-ঝিল্লি-প্রদাহ, তান্ডবরোগ, মস্তকশোথ, কটিবাত (চলাফেরায় কমে, বসে থাকলে বাড়ে), পক্ষাঘাত, কম্পন ইত্যাদি রোগে ব্যবহার্য।++++((+
HOMŚOPATHIC MATERIA MEDICA
by William BOERICKE, M.D.
ZINCUM METALLICUM
Zinc
(ZINC)
The provings picture cerebral depression. The word "fag" covers a large part of zinc action. Tissues are worn out faster than they are repaired. Poisoning from suppressed eruptions or discharges. (চাপা বিস্ফোরণ বা চাপা স্রাব থেকে বিষক্রিয়া ) The nervous symptoms of most importance. Defective vitality. Impending brain paralysis. Period of depression in disease. Spinal affections. Twitchings. Pain, as if between skin and flesh. Great relief from discharges. Chorea, from fright or suppressed eruption. Convulsions, with pale face and no heat. Marked anćmia with profound prostration. It causes a decrease in the number, and destruction of red blood corpuscles. Repercussed eruptive diseases. In chronic diseases with brain and spinal symptoms, trembling, convulsive twitching and fidgety feet are guiding symptoms.
শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে স্নায়ুর অস্বস্তি বা শিরশির অনুভূতি।
রোগী অত্যন্ত অস্থির থাকে, বিশেষত পায়ের নড়াচড়া বন্ধ রাখতে পারে না (Restless legs syndrome)।
ত্বকের কোনো স্রাব (যেমন ফোড়ার পুঁজ) বন্ধ হয়ে গিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যার সৃষ্টি।
ত্বকে শুষ্কতা এবং খসখসে ভাব।
ঋতুস্রাব ঠিকমতো না হলে এবং তার ফলে স্নায়বিক উত্তেজনা, মাথাব্যথা বা মনের অস্থিরতা।
শিশুদের ত্বকের র্যাশ বা ফুসকুড়ি চাপা পড়ে যাওয়ার পর শারীরিক অস্থিরতা।
ঘুমের মধ্যে চিৎকার করা বা স্নায়বিক খিঁচুনি।
প্রস্রাব বের হতে সমস্যা এবং স্নায়বিক উত্তেজনা।
প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হলেও তা পুরোপুরি বের হতে না পারা।
স্তনে দুধ জমে গিয়ে বা নিঃসরণ বন্ধ হয়ে স্নায়বিক অস্থিরতা।
স্তনে ফোলাভাব এবং স্নায়ুতন্ত্রের ওপর চাপ।
দীর্ঘদিন ধরে দুঃখ বা রাগ চেপে রাখার কারণে মানসিক চাপ এবং স্নায়বিক দুর্বলতা।
রোগী প্রায়ই বিষণ্ণ থাকে এবং ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
পায়খানা বা অন্যান্য স্রাব বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মাথাব্যথা বা স্নায়বিক সমস্যা।
পেটে গ্যাস এবং অস্বস্তি।
Make a comments as guest/by name or from your facebook:
Make a comment by facebook: