পারিবারিক সম্পর্ক বজায় রাখে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা

আল কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার ব্যাপারে জোড় নির্দেশ দিয়েছি, তার মাতা তাকে গর্ভধারণ করেছে কষ্টের পর কষ্ট করে, আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু বছরে যে, তুমি আমার আল্লাহর প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। 
বনি ইসরাইলে ২৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন - তোমার রব আদেশ করেছেন যে তোমরা তিনি ব্যতীত আর কারো এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সৎ ব্যবহার করবে। 

এখন আসুন সাইকোলজি যা বলে, বাবা মায়ের সাথে উদার মনে সরাসরি কিংবা  ফোন কলের মাধ্যমে কথাবার্তা বললে মানসিক চাপ কমে যায়। 


একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে - বাবা ও মায়ের কন্ঠ শুনিলে ব্রেন থেকে অক্সিটসিন  নামক এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয় যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

- সুতরাং আপনি যদি পৃথিবীতে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সহিত বেঁচে থাকতে চান তাহলে তাদের (পিতামাতার) প্রত্যেক বিষয়ের উপর খেয়াল রাখুন আর তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে অর্থাৎ কোন প্রকার কষ্ট দিলে পৃথিবীতে শারীরিক ও মানসিক দুরারোগ্য রোগে ভুগবেন যা কোন চিকিৎসা আরোগ্য লাভ করিবে না। না এলোপ্যাথি না হোমিওপ্যাথি।


 
 তাই আমার সৃষ্টিকর্তা আমাকে দোয়া শিখিয়েছেন যে - "র-ব্বির হামহুমা কামা র-ব্বায়ানি স-গিরা" অর্থাৎ করুনাভরে তাদের সামনে বিনয়ের ডানা ঝুলিয়ে দাও এবং বল হে আমার রব,  পিতা-মাতার প্রতি দয়া করুন যেমন তারা শৈশবে আমাকে লালন পালন করেছেন। 

 ডা. হ্যানিম্যান তার অর্গানন অফ মেডিসিন বইয়ে পারিবারিক সম্পক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে বলেছেন প্রত্যেক রোগীর ব্যাপারে, রোগীর সাথে তার পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং দ্বন্দ্ব থাকিলে রোগীর ভিতরে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা চলিতে থাকে যা ওষুধ দিয়ে আরোগ করা কঠিনতর হয়ে যায়। তাই রোগীর পারিবারিক সম্পর্ক ভালো থাকলে এবং হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করিলে অবশ্যই রোগী দ্রুত আরোগ্যের দিকে ধাবিত হতে থাকে। 
>Share by:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন


Make a comments as guest/by name or from your facebook:


Make a comment by facebook:
নবীনতর পূর্বতন